মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিসি, এসপিদের রদবদল হবে নির্বাচনের আগে

রদবদলের বিষয়টি নম্বরিং করে লটারির মাধ্যমে করার কথা বলা হয়েছে। এভাবে করা যায় কিনা সেভাবে ভেবে দেখতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে এই রদবদলের পর কেউ কোনও প্রকার প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: ডিসি, এসপি, ওসি এবং টিএনওদের নির্বাচনের আগে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি র‍্যান্ডমভাবে করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (৯ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিন সন্ধায় এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান প্রেস সচিব।  

রদবদল প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, রদবদলের বিষয়টি নম্বরিং করে লটারির মাধ্যমে করার কথা বলা হয়েছে। এভাবে করা যায় কিনা সেভাবে ভেবে দেখতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে এই রদবদলের পর কেউ কোনও প্রকার প্রভাব বিস্তার না করতে পারে। 

বৈঠকের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে জানানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। এই পুরো ৮ লাখ সদস্য যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে পারে সেটার প্রশিক্ষণ তাদের নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই কাজটি করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।

শফিকুল আলম বলেন, এবার অনেকেই ভোট দেবেন, শেখ হাসিনার আমলের তিনটি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। আমাদের তরুণ ছেলেমেয়েরা কেউ ভোট দিতে পারেনি। প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেছেন ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সীদের যাতে পৃথক একটা ভোটার তালিকা করা যায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য এবং তাদের জন্য আলাদা ভোটের বুথ করার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কীভাবে মোতায়েন হবে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। সীমান্ত এলাকায়, দেশের বিভিন্ন জায়গায়, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে মোতায়েন হবে, কতজন আনসার থাকবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, ৮ লাখ সদস্যের মধ্যে ৫ লাখ ৭০ হাজার আনসার সদস্য থাকবেন এবং ১ লাখ ৪১ হাজার থাকবেন পুলিশের সদস্য।

তিনি আরও জানান, বৈঠকে বলা হয়েছে, ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্র থাকবে। তার মধ্যে ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা যায়, সে নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ জন্য পুলিশের বডিক্যাম, কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিসিটিভি’র মনিটরিং যাতে ঠিকমতো হয় সেটাও নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনের সময় জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকেন। বৈঠকে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ভোট বিষয়ে প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায় সেই বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও জানান, আগে নির্বাচনের সময় চার দিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন থাকতো। এবার বলা হচ্ছে কীভাবে সাত দিনের জন্য মোতায়েন করা যায়। যাতে নির্বাচনের আগে এবং পরে সংঘাত প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়। এটা নিয়েও আলাপ হয়েছে।

বাংলাফ্লো/আফি

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0