বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশকে ফুটবল বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে চান কিউবা

কিউবা মিচেল লড়াইটা এই পর্যায়ে রাখতে চাইলেন না। তিনি দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন আরও বড়। তার স্বপ্ন বিশ্বকাপে খেলা।

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের পর কিউবা মিচেল। বাংলাদেশের ফুটবলে প্রবাসী ফুটবলারদের তালিকাটা আরেকটু লম্বাই হলো। প্রথম দু’জন আসাতে দেশের ফুটবলে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে রীতিমতো। ভারতের বিপক্ষে ড্র, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে লড়াই করে হার, বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিয়েছে এশিয়ান দলগুলোর চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই।

তবে কিউবা মিচেল লড়াইটা এই পর্যায়ে রাখতে চাইলেন না। তিনি দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন আরও বড়। তার স্বপ্ন বিশ্বকাপে খেলা। বাংলাদেশকে ফুটবলের বিশ্বআসরে নিয়ে যেতে চাইলেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘(জাতীয় দল নিয়ে স্বপ্ন) বিশ্বকাপে খেলা। কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কখনো খেলেনি। মহাদেশীয় আসরেও সর্বোচ্চ অর্জন ১৯৮০ এশিয়ান কাপে খেলা। শেষ, ওই পর্যন্তই। এর আগে পরে আর কখনো বিশ্বকাপ তো দূর, এশিয়া কাপেও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। সে বাংলাদেশকে নিয়েই স্বপ্ন বুনতে শুরু করে দিয়েছেন কিউবা।

কেন? কিউবার জবাবটা লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের স্কোয়াডে। হামজা চৌধুরী আর শমিতদের নিয়ে বাংলাদেশের স্কোয়াডটা নেহায়েত মন্দ নয়। দলের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ ভালো। সবচেয়ে বড় কথা, দলটা এখনও গড়ে ওঠার পর্যায়ে আছে। আর তাই দেখে স্বপ্নের পালে হাওয়া লেগেছে কিউবার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলটা গড়ে উঠছে, একসঙ্গে থাকলে সব সম্ভব।’

তার সামনে সুযোগ ছিল আরও সহজ পথে বিশ্বকাপে খেলার। জ্যামাইকার হয়ে খেলার সুযোগ ছিল তার সামনে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে খেলেছিল দলটা, হারিয়েছিল জাপানের মতো দলকে। এরপর আর বিশ্বকাপ যদিও খেলতে পারেনি দেশটা, তবে সুযোগ তো শেষ হয়ে যায় না! আর কনকাকাফ অঞ্চল থেকে জ্যামাইকার বিশ্বকাপের পথটাও তুলনামূলক ‘সরল’।

তবে সে সুযোগটা একপাশে রেখেই তিনি এসেছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করেছে হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে আসাটা। তিনি বলেন, ‘আসলে যখন হামজা (চৌধুরি) বাংলাদেশ দলে যোগ দিল, তখন অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করে। আমিও ছিলাম তাদের মতো একজন।’

তার সিদ্ধান্তে বড় নিয়ামক ছিল বাফুফের যোগাযোগ, ভক্তদের অসংখ্য বার্তাও। তিনি বলেন, ‘তারপর যখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ভক্তদের কাছ থেকেও অসংখ্য বার্তা পাই, তখন ওদের ভালোবাসাটা আমাকে আলাদা করে ছুঁয়ে যায়। মনে হলো, ওদের কিছু একটা ফেরত দেওয়া উচিত। জাতীয় দলে খেলে এবং পারফর্ম করেই সেটা করতে পারব ভেবেছিলাম।’

কিউবার চোখে এখন আরও বড় স্বপ্ন। বিশ্বকাপের স্বপ্ন।

বাংলাফ্লো/এসও

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0