স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: শেষ বাঁশি বাজার পর মাঠেই বসে পড়লেন এস্তেভো উইলিয়ান। হতাশায় মুখ ঢেকে ফেললেন দুই হাতে। চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ, কারণ স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট যেন আর ধরে রাখা যাচ্ছিল না।
তার পিঠে সান্ত্বনার হাত রাখলেন কোল পালমারসহ চেলসির বেশ কয়েকজন ফুটবলার। ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে চেলসির কাছে হেরে স্বপ্নের পথচলা থেমে গেল পালমেইরাসের। এস্তেভোর হতাশা সেই ব্যর্থতা ঘিরেই।
ম্যাচে ‘মেসিনিয়ো’ বা ‘ছোট মেসি’ নামে খ্যাত এই ফুটবলার উপহার দেন এক অসাধারণ গোল। ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো কেন তাকে পেতে মরিয়া ছিল, সেটার প্রমাণ রাখেন মাঠেই।
ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচটিকে পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে যায় চেলসি। ষোড়শ মিনিটে পালমারের গোল এগিয়ে নেয় ইংলিশ ক্লাবটিকে। ৫৩তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক কোণ থেকে গুলির বেগে শটে চোখধাঁধানো গোল করে পালমেইরাসকে সমতায় ফেরান এস্তেভো। তবে ৮৩তম মিনিটে পালমেইরাসের ডিফেন্ডার আগুস্তিন জিয়াইয়ের পায়ে লেগে বল ঢুকে যায় নিজেদের জালে।
ওই গোলেই বিদায় নেন পালমেইরাস। এই ক্লাবের হয়ে এস্তেভোর পথচলারও সমাপ্তি এতে। এই ক্লাব বিশ্বকাপের পরই চেলসির জার্সিতে নতুন যাত্রা শুরু করবেন ১৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান তরুণ। গত বছরের জুনেই তার সঙ্গে চুক্তি করেছিল চেলসি, শুধু অপেক্ষা ছিল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার। সেই শর্ত পূর্ণ হয়েছে এপ্রিলে।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কাছ থেকে আবেগময় আবহে বিদায় নেন এস্তেভো। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “একটি গোল করে দলকে সহায়তা করতে পারায় আমি খুশি। তবে ম্যাচটি আমরা হেরে গেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। যদিও ফুটবল এমনই। আমরা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
পালমেইরাসের কোচ আবেল ফেহেইরা, যাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এস্তেভোকে গড়ে তোলার জন্য, সেই কোচের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তরুণ এই ফুটবলার। ভালোবাসা জানালেন পালমেইরাসের প্রতিও।
“কোচ, সবকিছুর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনিই আমাকে ট্যাকটিক্যালি খেলতে শিখিয়েছেন এবং এটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পালমেইরাস আমার জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছিল এবং সেখানে খুবই খুশি ছিলাম আমি।”
“আমি ও আমার পরিবার এই ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞ, কোচ আবেলের প্রতি ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার জন্য যা করেছেন তারা। পালমেইরাসকে আমি হৃদয়ে ধারণ করব আজীবন।”
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0