স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামে ইউরোপের দুই জায়ান্ট পিএসজি ও চেলসি। পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল পিএসজি আর আক্রমণ, বিল্ডআপ, গোলের সুযোগ তৈরি—সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল চেলসি। কিন্তু যেই পিএসজি রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখদের মতো ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল, তাদেরই মাটিতে নামিয়ে ছাড়ল চেলসি।
রোববার (১৩ জুলাই) মধ্যরাতে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এবং কাগজে-কলমে পরিষ্কার ফেভারিট, পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে চেলসি।
ম্যাচের ২২ মিনিটেই ফল পেয়ে যায় চেলসি। ডি-বক্সের ভেতর থেকে গুসতোর পাস পেয়ে বল জালে পাঠান কোল পালমার। তার আট মিনিট পর আবারও পালমারের গোল। তবে এবার অ্যাসিস্ট করেছেন কলউইল।এদিকে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর এলোমেলো খেলা শুরু করে পিএসজি। তার সুযোগ নেয় চেলসি। ৪৩তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন জোয়াও পেদ্রো। চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর এটি তার তৃতীয় গোল।
প্রথম হাফে পিএসজি কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, দ্বিতীয় হাফের শুরু থেকেই গোলের সুযোগ তৈরি করতে থাকে। তবে চেলসির ডিফেন্স ভাঙতে পারছিলেন না দেম্বেলে-দুয়েরা। ম্যাচ যখন প্রায় নিশ্চিত পিএসজির হাতছাড়া হয়ে গেছে, তখন দলের খেলোয়াড়রা মেজাজ হারিয়ে ফেলে।
৮৫তম মিনিটে চেলসির ডিফেন্ডার কুকুরেলার চুল টেনে ধরায় লাল কার্ড দেখেন পিএসজির পর্তুগিজ তারকা জোয়াও নেভেস। ৮৭তম মিনিটে রেফারির সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন উসমান দেম্বেলে। শেষ পর্যন্ত সেই তিন গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চেলসি। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মেজাজ হারিয়ে পিএসজির কোচ লুইস এনরিকেও জড়িয়ে যান।
এদিকে পুরো পারফেক্ট মৌসুম কাটানো হলো না পিএসজির। ট্রেবল জেতার পর এবারের ক্লাব বিশ্বকাপেও তারা ছিল হট ফেভারিট। ফাইনালেও উঠেছিল ফরাসি ক্লাবটি। তবে শিরোপা জেতা হলো না তাদের। অন্যদিকে, কনফারেন্স লিগ শিরোপা জেতা চেলসির মৌসুমটা শেষ হলো আরও একটি শিরোপা জিতে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল চেলসি। ২০২১ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে প্রথমবার ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল দলটি।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0