বাংলাফ্লো জেলা প্রতিনিধি,
পঞ্চগড়ঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আল হাবিব (৬) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধ ও মাথায় ও পিঠে আঘাত করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ১০০ গজ দুরে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুমে ফেলে রেখে গেছেন দুর্বৃত্তরা। পরিত্যক্ত ওই ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা, ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। পরে বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে।
নিহত আল হাবিব উপজেলার শিলাইকুঠি গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রাথমিক ধারণা, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি আল হাবিব। সন্ধ্যা গড়ালেও খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের সময় শিশুটির গলায় একটি শার্ট পেঁচানো ছিল এবং শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে ফেলে রেখে গেছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ভবনে শিশুটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। তারপর আমরা পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। কে এই কাজ করেছে, কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, সেটি আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।”
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, “শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় শার্ট প্যাঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0