বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত কানাডা: ট্রাম্প

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একাধিক টেক্সট মেসেজে দেখা গেছে, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি অবজ্ঞার মনোভাব।

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্সি শুরু করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলিঙ্গন করে এবং আমেরিকার মিত্রদের আক্রমণ করে।

তিনি কানাডাকে অপমান করে বলেছিলেন, এটির যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত।

তিনি বলেছেন, তিনি গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি ব্যবহারের কথাও বিবেচনা করতে পারেন। গ্রিনল্যান্ড হলো আমেরিকার মিত্র ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আবার পানামা খালের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নিতে হবে।

নেটো সনদের অনুচ্ছেদ ৫-এ বলা হয়েছে, প্রতিটি সদস্য দেশকে অন্য সদস্য দেশের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।

ব্রিটেনের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, \আমি মনে করি, অনুচ্ছেদ ৫ এখন লাইফ সাপোর্টে আছে\।

রক্ষণশীল অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভ বলেন: \এই মুহূর্তে ট্রান্স-আটলান্টিক জোট (ইউরোপ-আমেরিকা জোট) শেষ\।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একাধিক টেক্সট মেসেজে দেখা গেছে, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি অবজ্ঞার মনোভাব।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, \আমিও তোমার মতো ইউরোপীয় ফ্রিলোডারদের (অর্থাৎ যারা বিনা খরচে সুবিধা নেয়) ঘৃণা করি,\ এবং বলেছিলেন, \অত্যন্ত করুণাজনক।\

এই বছরের শুরুতে মিউনিখে, ট্রাম্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে না।

এটি ট্রান্স-আটলান্টিক সংহতির ৮০ বছরের ইতিহাসের পাতা উল্টে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

ট্রাম্প তার রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসায় দরকষাকষি করতে গিয়ে বেশ কিছু কৌশল।ছবির উৎস,Getty Images

ছবির ক্যাপশান,ট্রাম্প তার রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসায় দরকষাকষি করতে গিয়ে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।

\ট্রাম্প যা করেছেন, তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ ও প্রশ্ন তৈরি করেছেন,\ বলেন অধ্যাপক ট্রুবোভিট্‌জ।

\ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার যেসব চুক্তি আছে, সেটা নিরাপত্তা, অর্থনীতি বা অন্য যেকোনো বিষয়ে- এখন সেগুলো যে কোনো সময় আবার নতুন করে আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে।\

\আমার ধারণা, ট্রাম্পের আশেপাশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, ট্রাম্পের খামখেয়ালি আচরণ ভালো জিনিস, কারণ এতে ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য কাজে লাগাতে পারেন…\

\এটা তার রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসায় দরকষাকষি করতে গিয়ে শেখা একটি কৌশল।\

ট্রাম্পের এই পদ্ধতি সুফল বয়ে এনেছে। মাত্র চার মাস আগে, স্যার কিয়ার স্টারমার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্স বা প্রতিনিধি পরিষদে বলেছিলেন, ব্রিটেন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় জিডিপির দুই দশমিক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করবে।

গত মাসে নেটোর এক সম্মেলনে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ শতাংশে, যা বিশাল এক বৃদ্ধি এবং এখন জোটের অন্য সব সদস্যও সেই হারে খরচ করছে।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাফ্লো/আফি

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0