Logo

এল ক্লাসিকো জয় বার্সেলোনার, শিরোপার পথে কাতালানরা

তিন রাউন্ড বাকি থাকতে বার্সেলোনা ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষেই রইলো।

এল ক্লাসিকো

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: ১০৩ বছর পর এই প্রথম এল ক্লাসিকোতে প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যে ৫ গোলের দেখা মিললো। প্রথমার্ধে দুই গোল হজমের পর চার গোল দিল বার্সেলোনা। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ৪-৩ ব্যবধানে জিতে পৌঁছে গেল লা লিগা শিরোপার আরও কাছে।

তিন রাউন্ড বাকি থাকতে বার্সেলোনা ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষেই রইলো। ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট বার্সার, সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্টে দুইয়েই রইলো রিয়াল।

রিয়াল পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় পেনাল্টি গোলে। বার্সা গোলকিপার শেজনি এমবাপ্পেকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পটকিকে গোল করেন এমবাপ্পে। ১৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। তাতে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান এমবাপ্পে। নিজের প্রথম মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড় এখন এমবাপ্পে।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে রেকর্ডটি ছিল চিলির কিংবদন্তি ইবান সামোরানোর। রিয়ালের জার্সিতে শুরুর মৌসুমে (১৯৯২-৯৩) এই স্ট্রাইকার ৩৭ গোল করেছিলেন ৪৫ ম্যাচে।

প্রথমার্ধের বাকি গল্পটা শুধুই বার্সেলোনার। ১৯ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান এরিক গার্সিয়া। ৩২ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান লামিন ইয়ামাল। দুই মিনিট পরই স্বাগতিক বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনহা। পেদ্রির পাস থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ৪৫ মিনিটে লুকাস ভাজকেজের ভুলে বল কেড়ে নেন রাফিনহা। ফেরান তোরেসের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে বল জালে পাঠান রাফিনহা। এই মৌসুমে রিয়ালের বিপক্ষে চার ম্যাচে রাফিনহার গোল হলো পাঁচটি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুই পরিবর্তন আনেন কার্লো আনচেলত্তি। গুলের ও সেবায়ওসের বদলে মাঠে নামান ব্রাহিম দিয়াজ ও লুকা মদ্রিচকে। ৫২ মিনিটে রাফিনহার পাস থেকে বল জালে পাঠিয়েছিলেন ইয়ামাল। তবে অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। বিল্ডআপের সময় রাফিনহাই অফসাইডে ছিলেন। ৫৬ মিনিটে এমবাপ্পের শট অল্পের জন্য লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়। এরপর দুই ডিফেন্ডার বদল করেন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক।

৭০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভিনিসিয়ুসের পাস থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। মৌসুমে তার গোল দাঁড়ায় ৩৯-এ। এবার লিগে ২৭ গোলে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। ম্যাচে স্কোর ৪-৩ হলে ফের জমে ওঠে খেলা। ৭৩ মিনিটে ইয়ামালের শট রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার কোর্তোয়া।

৮২ মিনিটে রিয়ালের বক্সে চুয়ামেনির হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করেছিল বার্সেলোনা। তবে রেফারি ভিএআর দেখে সেই আবেদন নাকচ করে দেন। তিন মিনিট পর রাফিনহার গোলের চেষ্টা ঝাপিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। ৮৬ মিনিটে ভিনির দুর্বল শট রুখতে কোন সমস্যাই হয়নি শেজনির। ৮৯ মিনিটে স্কোর ৪-৪ করার সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি নামা ভিক্টর মুনোজ। তবে তার শট পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে যায়।

ছয় মিনিট যোগকরা সময়ের প্রথমেই এমবাপ্পে পেয়েছিলেন গোল শোধের সুযোগ। তার শট কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন শেজনি। সেই কর্ণার থেকে হেডে বল জালেও পাঠিয়েছিলেন চুয়ামেনি। তবে এমবাপ্পে অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। এমবাপ্পের বার্সা গোলকিপার সামনে ছিলেন।

শেষ দিকে ফেরমিন লোপেজ বল জালে পাঠিয়েছিলেন তবে বিল্ডআপের সময় হ্যান্ডবল হওয়ায় গোল মেলেনি। ৪-৩ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।

বাংলাফ্লো/এসও

Related Posts খেলা

Leave a Comment

Comments 0