স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: স্বপ্নটা ছিল বহুদিনের, শ্রীলঙ্কার মাটিতে কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জয়। এতদিন সেটি অধরাই ছিল।
এবার ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া হয়। তবে টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়তে আর ভুল করেনি বাংলাদেশ।
সিরিজের শেষ ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের দাপুটে ইনিংসে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এতে লিটন দাসের অধিনায়কত্বের শুরুটাও হলো সফলতা দিয়ে।
কলম্বোয় ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায়। প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকে ফিরেন পারভেজ হোসেন ইমন, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
তবে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও, লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ান তানজিদ। দুজনে গড়েন ৭৪ রানের কার্যকর জুটি। ৩২ রানে লিটন আউট হলেও একপ্রান্ত ধরে রেখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম।
৬ছক্কা ও ১ চারে সাজানো ৪৭ বলের ঝোড়ো ইনিংসে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান এই তরুণ। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৫৫.৩১। তাওহিদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে (১ চার, ১ ছক্কা)।
তবে এই জয়ে ব্যাটারদের অবদান যতটা, বোলারদের সেটি ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বল হাতে দুর্দান্ত করেন শেখ মেহেদী হাসান। সুযোগ পেয়ে চেনা ছন্দে ফিরেই স্পিন জাদুতে আটকে ফেলেন লঙ্কান টপ অর্ডারকে।
মাত্র ১১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তিনি, যার মধ্যে ছিল একটি মেডেন ওভারও। এটিই তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। আগেরটি ছিল ১৩ রানে ৪ উইকেট, ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউনে।
মেহেদীর ঘূর্ণিতেই ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভারে তারা তুলতে পারে মাত্র ১৩২ রান। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় বাকি কাজটা সহজেই সেরে ফেলেন ব্যাটাররা। আর তাতেই রচিত হলো ইতিহাস।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0