ডাকসুর মধ‍্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ – ফারুকী

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসুর মধ‍্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ – ফারুকী

ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, “যে ভোট রাতেই করে ফেলা যায় সেটা দিন পর্যন্ত রাখা হলো কেন? সময়ের কাজ সময়ে না করা এই জাতির বড় দুর্বলতা।”

ছবি: বাংলাফ্লো

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ডাকসুর মাধ্যমে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলো। তিনি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, “যে ভোট রাতেই করে ফেলা যায় সেটা দিন পর্যন্ত রাখা হলো কেন? সময়ের কাজ সময়ে না করা এই জাতির বড় দুর্বলতা।”

ফারুকী আরও লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে লাইলাতুল ইলেকশনের জননী, ব‍্যাংক লুটেরা, গুমের মাস্টারমাইন্ড, বিডিআর-শাপলা-জুলাই ম‍্যাসাকারের প্রধান পরিকল্পনাকারী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খুনি হাসিনা যে কথা বলেনি। পোস্টের শেষ অংশে তিনি যোগ করেন, “ফুটনোট: ডাকসুর মধ‍্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ। এরপর চলে আসবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন। সবাইকে নির্বাচন মোবারক!”

নির্বাচনের বিস্তারিত: এবারের ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যা ডাকসুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ৬২ জন নারী প্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১,০৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাগছাস ও ছাত্র অধিকার পরিষদ আলাদা প্যানেল দিয়েছে, বামপন্থি ছাত্র সংগঠন দুটি প্যানেলে অংশ নিচ্ছে, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ১০টির মতো প্যানেলে রয়েছেন।

মোট ভোটার ৩৯,৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২০,৮৭৩ এবং ছাত্রী ১৮,৯০২ জন। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ভোট গণনা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) মেশিনে, এবং প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ফল প্রদর্শিত হবে। সবশেষে সিনেট ভবন মিলনায়তনে সব কেন্দ্রের মোট ফল ঘোষণা করা হবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ৮টি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি, মোবাইল প্যাট্রল, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডিবি, সিসিটিভি মনিটরিং এবং স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।

আলোচনায় মূলত তিনটি প্যানেল—ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং বাগছাস সমর্থিত প্রার্থীরা—সর্বাধিক এগিয়ে রয়েছেন। এর বাইরে উমামা ফাতেমা ও বামজোট সমর্থিত প্যানেল এবং কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও আলোচনায় রয়েছেন। ভিপি পদে শামীম হোসেন, জিএস পদে আরাফাত চৌধুরী এবং এজিএস পদে তাহমীদ আল মুদাসসীর চৌধুরীর নাম বেশি শোনা যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাফ্লো/সিএস