বাংলাফ্লো ডেস্ক,
ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলতি মাসের মধ্যে শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, নতুন ২২টি রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রেরিত কাগজপত্র ইতিমধ্যে সচিবালয়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাপ্ত তথ্যগুলো একটি ব্রডশিট আকারে সন্নিবেশ করছি। আগামীকালের মধ্যে এটি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে এবং এরপর কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রতীক বরাদ্দও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে আখতার আহমেদ জানান, প্রতীক সংক্রান্ত বিধিমালার সংশোধনের প্রস্তাব এখনও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব, তবে প্রতীক প্রদানে বিলম্ব হতে পারে। আমরা চাই, নিবন্ধন ও প্রতীক একসঙ্গে দেওয়া হোক, যাতে নতুন রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য এবার ইসিতে মোট ১৪৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন জমা দিয়েছে। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১২১টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টি দলকে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। এছাড়া আবেদন বাতিল হওয়া দলগুলোকে ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শেষে যে ২২টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় টিকে আছে, সেগুলো হলো-জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ফরওয়ার্ড পার্টি, আম জনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
ইসি সচিব বলেন, কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। যাতে নির্বাচনী রোডম্যাপ কার্যক্রমে কোনো বিলম্ব না হয়। তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা ও বিচার-বিশ্লেষণ অবলম্বন করে প্রতিটি আবেদন যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে সময়মতো নিবন্ধন ও প্রতীক প্রদান নিশ্চিত হলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। এটি নির্বাচনী প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং প্রার্থীদের জন্য সমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সূত্র : বাসস।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0