স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: এইচএসসি পরীক্ষার পর বিকেএসপি ক্যাম্পাস ছাড়েন ক্রীড়াবিদরা। সবুজ ক্যাম্পাসে জীবনের সোনালী সময় কাটান তরুণ-তরুণীরা। বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থীরা নীরবেই বিদায় নিতেন। এবারই প্রথম বিকেএসপি শিক্ষার্থীদের ঘটা করে বিদায় জানিয়েছে।
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আক্তার, এশিয়া কাপ আরচ্যারিতে স্বর্ণজয়ী আরচ্যার আব্দুর রহমান আলিফ, জাতীয় হকি দলের গোলরক্ষক হুজায়ফা বিকেএসপি ৩৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা খানিকটা সৌভাগ্যবান, বিগত ব্যাচে বিকেএসপি আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো বিদায় দেয়নি।
বিকেএসপি কলেজ থেকে শুরু করে প্রধান ফটক পর্যন্ত সকল প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাস্তার দু’ধারে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফুলের পাঁপড়ী ও বাদক দলের সুরের মূর্ছনায় বিদায় জানানো হয় ব্যাচ’৩৫কে । এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্ঠি হয়। প্রতিষ্ঠনের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে উপস্থিত সকলেই ব্যাচ’৩৫ এর প্রশিক্ষণার্থীদের বিদায় জানান অশ্রু ভেজা নয়নে।
গতকাল সন্ধ্যায় এইচএসসি’৩৫ এর বিদায় উপলক্ষ্যে বিকেএসপি’র অডিও ভিজ্যুয়াল সেন্টারে আয়োজন করা হয় এক বিদায় অনুষ্ঠানের। মিলনায়তনে বিদায়ী প্রশিক্ষণার্থীদের রজনীগন্ধার ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় এক ঝাঁক ক্ষুদে প্রশিক্ষণার্থী। স্মৃতিচারন পর্বে বক্তব্য রাখেন দু’জন প্রশিক্ষণার্থী ও শ্রেণি শিক্ষক। পরিবেশিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম বিদায়ীদের উপদেশ ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন।
দেশের একমাত্র সরকারী ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। কঠোর প্রশিক্ষণ, লেখা-পড়া ও সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের মধ্যে খেলোয়াড়েরা বেড়ে উঠেন এখানে। বিকেএসপিতে সাধারণত ষষ্ঠ/সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন ক্রীড়া প্রশিক্ষণার্থীরা। তবে বক্সিং, সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, টেনিসে ক্লাস ফোর থেকে কার্যক্রম শুরু। এই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ৯ বছর ক্যাম্পাসে থাকার সুযোগ পান অন্য ডিসিপ্লিনে সাধারণত ৬ বছর।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0