Logo

বিসিবির নথি প্রমাণ করে ফারুকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অভিযোগ মিথ্যা

সম্প্রতি আটজন পরিচালক একযোগে ফারুকের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে দাবি করেন, ফারুক আহমেদ বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই একতরফাভাবে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাবের মূলে থাকা বেশ কিছু অভিযোগই খোদ বোর্ডের অভ্যন্তরীণ নথিতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একাধিক গোপন নথিতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে, যা বিসিবির অভ্যন্তরে চলমান টানাপড়েনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

ইংরেজি গণমাধ্যম তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দাবি করেছে। এসব গোপন নথি গণমাধ্যমটির হাতে এসেছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সম্প্রতি আটজন পরিচালক একযোগে ফারুকের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে দাবি করেন, ফারুক আহমেদ বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই একতরফাভাবে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করেছেন। তাদের ভাষায়, বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে ‘স্বেচ্ছাচারী’ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেন ফারুক।

কিন্তু হাতে আসা নথিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড তার বরখাস্তের নোটিশ অনুমোদন করেছে।’ অর্থাৎ, বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ছিল বোর্ড-স্বীকৃত—ব্যক্তিগত নয়।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় অনাস্থা প্রস্তাবের সারমর্ম ও পরিচালকদের উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে আবারও আলোচনায় এসেছে বিসিবির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উত্তপ্ত বাস্তবতা।

অনাস্থা নাটকের জের ধরে দ্রুতই সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ফারুক আহমেদকে। তার স্থলাভিষিক্ত হন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দীর্ঘদিন পর বোর্ডের নেতৃত্বে এলো এমন এক পরিবর্তন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

তবে সবকিছুর চেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) হঠাৎ তড়িঘড়ি করে ফারুক আহমেদের কাউন্সিলর পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে। অনাস্থা চিঠি জমা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত আসায় প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার ন্যূনতম সুযোগও দেওয়া হয়নি ফারুককে

এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, আট পরিচালকের অভিযোগের পেছনে আদৌ কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েছিল কিনা। তবে অভ্যন্তরীণ নথির এমন ‘বিস্ফোরক’ তথ্য সামনে আসায় অনাস্থা প্রস্তাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির এই অধ্যায় শেষ হবে কি না—তা সময়ই বলবে। তবে এই নাটকীয় মোড় নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেটপ্রীত জনগণের চোখ ফেরাবে আবারও বোর্ডরুমের দিকে।

বাংলাফ্লো/এসও

Related Posts খেলা

Leave a Comment

Comments 0