স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: যেকোনো ধরণের স্পোর্টসে ভালো করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন ফিটনেস। বিসিবি অবশ্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের দিকে সবসময় নজর রেখে আসছে। আসন্ন নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপের আগে সুযোগ পেয়ে লম্বা সময়ের জন্য একটা ফিটনেস ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। দিন দুয়েক আগে হয়েছে একটি ফিটনেস পরীক্ষাও।
জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি আজ বলেছেন, ‘এখানে পাশ-ফেইল বড় বিষয় নয়। কার কোথায় শক্তি আর কোথায় দুর্বলতা, ফিটনেস কেমন তা বুঝতে পারাই মূল লক্ষ্য। জাতীয় স্টেডিয়ামেও কিছু টেস্ট হয়েছে। স্প্লিন্ট, কন্ট্রোল... নাহিদ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। গ্রুপ হিসেবে আরও ভালো হওয়ার চেষ্টা করছি। এখানেও কিছু স্ট্রেন্থ টেস্টিংয়ের পরামর্শ দিয়েছি। ছেলেদের অনেক উন্নতি হয়েছে।’
ক্রিকেট একটু ভিন্ন হলেও যথাযথ অ্যাথলেট হয়ে ওঠা জরুরি বলে মনে করেন কেলি, ‘ছেলেরা এখন অনেক টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলে। তাদের শুধু ক্রিকেটে উন্নতি করলেই হবে না, অ্যাথলেট হিসেবেও উন্নতির জায়গা আছে। ছেলেরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে। ঐ কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো বড় সময় ধরে ফিজিক্যাল ওয়ার্ক করতে না পারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যে স্পোর্টসেই খেলুন না কেন আপনাকে ভালো অ্যাথলেট হতে হবে। আপনাকে ফিট হতে হবে, পাওয়ারফুল হতে হবে। শীর্ষ দুই ক্রিকেট ন্যাশন দেখুন, তাদের সবাই ফিট এবং পাওয়ারফুল অ্যাথলেট। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ সপ্তাহ ধরে কাজ করে প্রি-সিজনে। আমাদের সময় কম। এই সময়েই আমাদের চেষ্টা করতে হবে।’
খেলোয়াড়দের আরো অ্যাথলেটিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে কেলি বলেন, ‘অ্যাথলেটদের নেচার দিন শেষে একরকম। আমরা অ্যাথলেটিক ক্রিকেট প্লেয়ার চাই। যা তাদের ভালো খেলার স্বাধীনতা দিবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংও আরও ভালো হবে। মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে। ফাস্ট বোলাররা দীর্ঘ স্পেল করতে হবে। এটা শুধু ক্রিকেট দিয়ে কথা নয়, সব খেলাতেই অ্যাথলেটিক ফিটনেস প্রয়োজন।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0