জেনেভা ক্যাম্পে সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১১

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জেনেভা ক্যাম্পে সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১১

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানটি মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা কর্মীর ওপর হামলার পর চালানো হয়।

সেনা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়। গোয়েন্দা কর্মীরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালালে সোহেল ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় এক গোয়েন্দা কর্মী মাথায় গুরুতর আঘাত পান। খবর পেয়ে নিকটস্থ সেনা টহল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতকে উদ্ধার করে এবং তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে হাতেনাতে আটক করে।

পরে আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনী পুনরায় অভিযান চালায়। এ সময় ৫৬৬০ পিস ইয়াবা, ৫০০ গ্রাম গাঁজা, তিনটি সামুরাই, দুটি চাপাতি ও মাদক বিক্রির ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— গোয়েন্দা কর্মীর ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুজন (২৬), দিপু (২৭), সাকিব (২২), রবিন (২৬), মাসুম (২৬), রমজান (১৬) ও শেখ গোলাম জেলানি (৬৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ গোলাম জেলানি মোহাম্মদপুর থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে— মিঠুন (৩২), ইমরান (২৫), বাবু (২৮) ও মিজানুর রহমান (৩১)।

৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলাকালে আমাদের একজন গোয়েন্দা কর্মী মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত হন। এরপর দুটি অভিযানে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বুনিয়া সোহেলকে ধরা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও জানান, মাদক সংশ্লিষ্ট চার জন আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হামলায় জড়িত সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোহাম্মদপুর থানায় সোপর্দ করা হবে।

সেনা কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বাংলাফ্লো/সিএস