বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি, শুনানি ২১ অক্টোবর

আপিল বিভাগ বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি পুনরায় এ বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ২১ অক্টোবর।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: আপিল বিভাগ বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি পুনরায় এ বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ২১ অক্টোবর।

বুধবার (২৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ। যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটিই করা হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গেলো দেড় দশকে দেশের মানুষ শাসিতের পরিবর্তে শোষিত হয়েছে নানাভাবে। মানুষ গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যেসব সিস্টেম ছিল, সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে এবং মানুষ বিচার পায়নি। যার কারণে এই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আর সেই রাজপথ থেকেই নির্ধারিত হয়েছে কে প্রধান বিচারপতি হবেন আর কে সরকার প্রধান হবেন। জনগণের এই ক্ষমতাকে কোনোভাবেই অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। এসব অবজ্ঞা করলেই বিপ্লবের সৃষ্টি হয়।

এর আগে ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ বিষয়টি শুনানি গ্রহণ করে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে। পরে ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করা হয়। আদালত ওই রায়ের মাধ্যমে দশম ও একাদশ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেও উল্লেখ করে।

রায় ঘোষণার পর পিটিশনার আবদুল মান্নান খান বলেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে দেশের গণতন্ত্রের ভিত আরও সুদৃঢ় হবে এবং বিচার বিভাগ আরও বেশি প্রভাবমুক্ত থাকতে পারবে।

আপিলকারীর আইনজীবী এমআই ফারুকী বলেন, এ রায়ের ফলে আমরা সংবিধান রক্ষা করতে পেরেছি। এটি সংবিধান, গণতন্ত্র ও জাতির জন্য খুবই ভালো হয়েছে।

উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়, যা খারিজ হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0