স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: তর্কসাপেক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপেই পড়েছিল এবারের আসরের সবচেয়ে দূর্বল ক্লাব অকল্যান্ড সিটি। পেইন্টার, ওয়্যারহাউজ ম্যানেজার কিংবা স্কুল শিক্ষকরাই যে ক্লাবের বড় তারকা, তাদেরকে দুর্বল বলাটা একেবারেই অন্যায় নয়। কিন্তু সেই ক্লাবটাই কি না আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব বোকা জুনিয়র্সকে উঠতে দেয়নি ক্লাব বিশ্বকাপের রাউন্ড অব সিক্সটিনে!
ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে অকল্যান্ড সিটি হজম করেছিল ১৬ গোল। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ১০ গোল খাওয়ার পর বেনফিকার বিপক্ষে খেয়েছিল আরও ৬ গোল। বোকা জুনিয়র্সও তৈরি ছিল বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য। প্রথম দুই ম্যাচের একটিতে হেরে এবং অন্যটি ড্র করে নিজেদের কাজে এটুকুই করা বাকি ছিল আর্জেন্টাইন ক্লাবটির জন্য। কিন্তু দিনটা ছিল শুধুই অকল্যান্ডের।
আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বোকা জুনিয়র্সকে তারা আটকে দিয়েছে ১-১ গোলের ড্রতে। আর সেটাতেই আর্জেন্টাইন ক্লাবের পুড়েছে কপাল। সি গ্রুপ থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে যায় বোকা জুনিয়ার্স। আর বিরতির পর ৫২ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে অকল্যান্ড সিটিকে সমতায় ফিরিয়ে উল্লাসে মাতান ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান থমাস গ্রে, যিনি কিনা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক।
ম্যাচজুড়ে ৭৪ শতাংশ বলের দখল রেখে ৪১টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখে বোকা, কিন্তু তারা গোল আদায় করতে পারে মাত্র ১টি। অন্যদিকে ২৬ শতাংশ বলের দখল রাখা অকল্যান্ড সিটি ৩ শটে ২টি লক্ষ্যে রেখে ১টি গোল ঠিকই আদায় করে নেয়।
সমতায় ফেরার পর বাজে আবহাওয়ার কারণে ম্যাচ প্রায় ৪০ মিনিটের মতো বন্ধ ছিল। তবে এরপর খেলা শুরু হলেও অকল্যান্ডের কাছে হতাশই হতে হয়েছে বোকা জুনিয়র্সকে। এই গ্রুপ থেকে অবশ্য দুই দলই বিদায় নিয়েছে। শেষ ১৬-তে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকা এবং জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0