Logo

গাজায় ৯৩ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে

ইসরায়েলি অবরোধের কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: ইসরায়েলি অবরোধের কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।

সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, গাজার ৯৩ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ 'বিপর্যয়কর' অবস্থায় আছে, যা সরাসরি দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস।

আইপিসি জানায়, অক্টোবরের পর থেকে খাদ্য পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি হয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও হামাসের সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় কিছুটা স্বস্তি মিললেও সাম্প্রতিক উত্তেজনায় মানবিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

জাতিসংঘ জানায়, সীমান্তে সহায়তা সামগ্রী প্রস্তুত থাকলেও ইসরায়েলের বাধার কারণে তা ঢুকছে না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য সংকটে গাজার অনেক পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি বা ময়লা-আবর্জনা বিক্রি করে বাঁচার চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে গাজার পাঁচ বছরের নিচে প্রায় ৭১ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।

ইসরায়েল অবশ্য দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছেছে।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে মানবিক সহায়তা প্রবেশে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চাইছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। সফরে কোনো চুক্তি না হলে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরালো করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ৫২ হাজার ৮৬২ জন বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বাংলাফ্লো/এসকে

Leave a Comment

Comments 0