বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক পদের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে শূন্য পদ ছিল ১ লাখ ৪২টি। সেই হিসাবে এখনও ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদই শূন্য থেকে গেল।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চসংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য যাতে সুপারিশ করা যায়, সেজন্য আমরা চেষ্টা করেছি। অনেকে নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত পদ, বিষয় ও প্রতিষ্ঠানের যে ধরন, তারও বাইরে আবেদন করেছেন। তাদেরকে বাদ দিতে হয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংস্থাটি বলছে, যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় তারা পদগুলো শূন্য রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি যতগুলো শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তার বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল অর্ধেকের মতো। সেখান থেকেও কিছু প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ায় এতসংখ্যক পদ শূন্য রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হচ্ছে তাদের।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদ ছিল এক লাখ ৮২২টি। পরে ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। এতে শূন্যপদ দাঁড়ায় এক লাখ ৪২টি। এসব পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ পেতে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
তাদের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য থেকে গেছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষক পদের জন্য আবেদনকারিরা যে প্রতিষ্ঠানগুলো পছন্দক্রমে দিয়েছেন, সেখানে আসন ফাঁকা নেই। ফলে তাকে বাদ পড়তে হয়েছে। এছাড়া শূন্যপদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0