বাংলাফ্লো বিনোদন

ঢাকা: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যু পুরো দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তবে এই ঘটনার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা নাম ছিল তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।

মৃত্যুর পরপরই রিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ, কটাক্ষ, বিচার– এ সবকিছুরই মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু সেই অন্ধকার সময়েও একজন মানুষ তার পাশে ছিলেন অটল ভরসার জায়গা হয়ে— তার ১৬ বছরের প্রিয় বান্ধবী, গায়িকা শিবানী দন্ডেকর। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে শিবানী স্মরণ করেন,

“এটা এমন এক সময় ছিল, যা কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারবে না। সেই সময় রিয়া ছিল একেবারে একা, ভীষণ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সে যেভাবে সব সামলে নিয়েছিল, তা সত্যিই অসাধারণ।”

শিবানীর মতে, রিয়া চক্রবর্তী মিডিয়া ট্রায়াল, ট্রোলিং, সামাজিক অবহেলা ও পেশাগত বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও মাথা নোয়াননি। বরং আরও শক্ত হয়ে ফিরেছেন। সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় রিয়াকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের গুজব ও বিতর্ক। অনেকেই তাকে দোষারোপ করেন, যার ফলে তাকে পেশাগত জীবন থেকেও ছিটকে যেতে হয়। দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র জগত থেকেও দূরে থাকতে হয় তাকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। আদালতের রায়ে এখন কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন রিয়া, তবে সেই সময়ের মানসিক চাপ ও দুর্ভোগ ছিল অপূরণীয়। শিবানী আরও বলেন, “রিয়া খুব শক্ত মনের মেয়ে, কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও শক্ত করেছে। তবে আমি চাই না, রিয়ার মতো আর কাউকে কখনও এমন যন্ত্রণা সহ্য করতে হোক।”

রিয়ার কথায়ও শিবানীর ভূমিকা ছিল অনন্য, “সবচেয়ে অন্ধকার সময়টাতে দাঁড়িয়ে শিবানী প্রমাণ করেছে, সত্যিকারের বন্ধু কাকে বলে। আমার বাবা-মায়ের বাইরেও যে কেউ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিতে পারে, সেটা আমি শিখেছি ওর কাছ থেকে।”আজ রিয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন। মিডিয়ার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে তিনি আজও নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টা করছেন। বন্ধুত্ব, বিশ্বাস, ও মানসিক শক্তিই তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, কঠিন সময় মানুষকে ভেঙে দিতে পারে ঠিকই, তবে পাশে যদি একজন সত্যিকারের বন্ধু থাকে, তাহলে সেই মানুষটিই পরিণত হয় নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার প্রতিচ্ছবি।

বাংলাফ্লো/আফি