বাংলা ফ্লো স্পোর্টস

ঢাকা: জমে উঠেছে স্প্যানিশ লা লিগা। মৌসুমে আর মাত্র আটটি ম্যাচ বাকি। এমন অবস্থায় শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পেনাল্টি মিসে ম্যাচ হেরে শিরোপা লড়াইয়ে পিছিয়ে পরে রিয়েল মাদ্রিদ।

আর ঘরের মাঠে রিয়েল মাদ্রিদের হারের সুযোগে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে সুযোগ ছিল পয়েন্ট ব্যবধান বাড়িয়ে শিরোপা জয়ের পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার।

কিন্তু খেলার শুরুতে গোল পেলেও পরবর্তীতে একের পর এক গোল মিসের মহড়ায় জিততে পারে নি বার্সেলোনাও। ঘরের মাঠে সফরকারী রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচ ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে হ্যান্সি ফিলের শিষ্যদের।

শনিবার (৫ এপ্রিল) এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্প্যান্সে সফরকারী রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ৭ মিনিটে গাভির দেওয়া গোলের এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। কিন্তু ঠিক তার ১০ মিনিট পরেই নাতানের গোলে সমতায় ফেরে সফরকারীরা।

ঘরের মাঠে এদিন ৭৫ শতাংশ সময় বল স্বাগতিকদের পায়েই ছিল। মোট ১৩টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। অন্যদিকে ৬টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারে বেতিস।

এই ড্রয়ে ৩০ ম্যাচে ২১ জয়ও ৪ ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট। ৩০ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে বেতিস।

ম্যাচের একদম শুরুতে বেতিস আক্রমণ শানালেও দ্রুতই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ফ্লিকের শিষ্যরা। ষষ্ঠ মিনিটেই পেদ্রির জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বেতিসের গোলরক্ষক আদ্রিয়ান।

এর পরের মিনিটেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন বেতিসেরই এক সময়ের খেলোয়াড় গাভি। একাদশে ফেরা এই তরুণ মিডফিল্ডার ফেরান তোরেসের পাস থেকে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান।গোল করে অবশ্য সাবেক ক্লাবের প্রতি সম্মান জানিয়ে উদযাপন করেননি গাভি।

বার্সেলোনা এদিন ১০ মিনিটের বেশি লিড ধরে রাখতে পারেনি। ১৭ মিনিটে সফরকারী বেতিস সমতায় ফেরে নাতানের গোলে। জিওভান্নি লো সেলসোর কর্নারে ঝাঁপিয়ে উঠে দারুণ হেডে গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

ম্যাচের বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে বার্সেলোনা। তোরেস, লেভানদোভস্কিরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে রাফিনিয়াকেও নামান ফ্লিক। রাফিনিয়াও চেষ্টা করে আর গোল এনে দিতে পারেননি। লামিনে ইয়ামাল, বালদে একের পর এক ক্রস করে গেলেও সতীর্থ খেলোয়াড়রা সেসবের নাগালই পাননি।

রিয়েল বেতিসও অল্প কয়েকটি আক্রমণ শানালেও বার্সার গোলরক্ষক সেজনি খুব বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েননি।

শেষ পর্যন্ত দুই দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই খুশি থাকতে হয়েছে।

চলতি মৌসুমে লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই হার এড়িয়েছে বেতিস। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা।

খুব বড় কোনো অঘটন না ঘটলে লা লিগার শিরোপা এবার বার্সেলোনার ঘরেই যাচ্ছে। তবে খেলাটা যেহেতু ফুটবল তাই শেষ ম্যাচের শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত কিছুই বলা যায় না।

তবে পয়েন্ট ব্যবধান যেহেতু চার তাই কিছুটা স্বস্তি পেতেই পারে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।

বাংলাফ্লো/এসবি