Logo

মণিরত্নম ও কমল ৩৭ বছর পর একসঙ্গে

৩৭ বছর পর আবার ঠগ লাইফ ছবিতে জুটি বেঁধে আসছেন তাঁরা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো বিনোদন

ঢাকা: মণিরত্নম ও কমল হাসান ১৯৮৭ সালে ‘নায়কন’ ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন । এরপর কেটে গেছে তিন যুগ। ঠিক ৩৭ বছর পর আবার ঠগ লাইফ ছবিতে জুটি বেঁধে আসছেন তাঁরা।তবে এবার তাঁদের আসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নতুন আরেক কিংবদন্তি, অস্কারজয়ী এ আর রাহমান।

চেন্নাইয়ে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে মুক্তি পেয়েছে ‘ঠগ লাইফ’ ছবির প্রথম গান। অনুষ্ঠানে এই তিনজন ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন তৃষা কৃষ্ণন, সিলবরাসন টিআর।

মণিরত্নমের সঙ্গে পুনরায় কাজ করতে পেরে যারপরনাই খুশি কমল হাসান। তিনি নিজের আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘নায়কন’–এর পর এতগুলো বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কেউ বদলাইনি। একসঙ্গে আসার জন্য আমাদের এতগুলা বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমাদের আরও আগে একসঙ্গে আসা উচিত ছিল। আসলে আমরা একটা ভালো চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় ছিলাম, তাই আমাদের এতগুলা বছর লেগে গেল। আজ আমরা একসঙ্গে এসেছি, তা আপনাদেরই কারণে।

কমল হাসান জনপ্রিয় চিত্র পরিচালক কে বালাচন্দরকে নিজের গুরু ও আদর্শ মনে করেন।

হাসান জানান যে মণিরত্নম তাঁকে তাঁর গুরুর কথা মনে করিয়ে দেন। ‘মণি ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন যে এটা ওনার জন্য কত বড় প্রশংসাসূচক শব্দ। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।

এদিনের অনুষ্ঠানে হালকা মেজাজে ধরা দিয়েছিলেন কমল হাসান। তিনি মণিরত্নমের একটা গোপন ‘ডাকনাম’ ফাঁস করে দেন। দক্ষিণি এই তারকা হাসতে হাসতে বলেন, ‘মণির ডাকনাম হলো অঞ্জু আরা মণিরত্নম, মানে ভোর সাড়ে পাঁচটার মণিরত্নম। উনি ব্রাহ্মমুহূর্তে শুটিং করতে পছন্দ করেন। “নায়কন” ছবি থেকে তাঁর এ অভ্যাস শুরু হয়েছে।

পরিচালক মণিরত্নমও অনুষ্ঠানে কমল হাসান সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, কমল হাসান যে কত বড় মাপের অভিনেতা, তা সবাই জানেন। আজও সিনেমার প্রতি উনার একই রকম ভালোবাসা দেখে আমি অনুপ্রাণিত হই, মুগ্ধ হই।যেকোনো ছবিতে তাঁর মতো অভিনেতা থাকা মানে পরিচালকের দায়িত্ব অনেকটাই হালকা হয়ে যাওয়া।

ঠগ লাইফ ছবির পরিচালনার সময় ৫০ শতাংশ বোঝা আমার কমে গিয়েছিল উল্লেখ করে মণিরত্নম বলেন, নানান বিষয়ের প্রতি উনি খেয়াল রাখেন। শুধু তা–ই নয়, ওনার আশপাশের সব অভিনেতা ও মানুষকে উনি সব সময় সাহায্য করে থাকেন।

 ‘“নায়কন”–এর পর মণিরত্নম ও কমল হাসানের পুনর্মিলন হয়েছে। তবে এই ছবি নায়কন–এর চেয়ে অনেক আলাদা জানিয়ে রাহমান বলেন, ঠগ “লাইফ” করার সময় আমি কোনো রকম চাপ অনুভব করিনি। এই ছবির সঙ্গে আজকের আধুনিকতা জুড়ে আছে। তবু এর মধ্যে কোথাও “নায়কন”–এর জাদু আছে।

রাহমান বলেন, প্রতিবার কোনো একটা দৃশ্যের জন্য আমি যখন মিউজিক প্রস্তুত করেছি, তখন মনে হতো কমলজি আমার দিকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন।

‘ঠগ লাইফ’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে রাহমান আরও বলেন, একদিন কমল হাসান আমাকে ফোন করে বলেন যে আমি যেন পুরোপুরি ফর্মে থাকি। তখনই বুঝতে পারি, উনি ছবিকে ঘিরে কতটা মগ্ন আছেন।

এমন নয় যে রাহমান (নিজে) পুরোপুরি স্বমহিমায় থাকেন না। আসলে আমরা সব সময় আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় থাকি। আমি মনে করি, কমল স্যার তাঁর নিজের ক্যারিয়ারে যথাসম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’

‘ঠগ লাইফ’ ছবিতে মুখ্য নায়িকার ভূমিকায় দেখা যাবে তৃষা কৃষ্ণনকে। দক্ষিণি এই নায়িকা মণিরত্নম ও কমল হাসান সম্পর্কে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন। মণিরত্নম ও কমল হাসান—দুজনের মধ্যেই আলাদা একটা আলো আছে। আমি তাঁদের দুজনের সঙ্গে তিন-তিনটা ছবি করেছি। আমি তাঁদের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ অনুভব করি। কমল হাসানের প্রতিটা ছবিকে নিজের প্রথম ছবি হিসেবে দেখেন। সিনেমার প্রতি ওনার আবেগ ও ভালোবাসা অনেকটাই আলাদা। ছোট ছোট দৃশ্যের ক্ষেত্রেও উনি ওনার সব উজাড় করে দেন। আমি এই ছবির অংশ হয়ে অত্যন্ত ভাগ্যবতী ও সম্মানিত বোধ করছি।

‘ঠগ লাইফ’ ৫ জুন বড় পর্দায় মুক্তি পাবে।

বাংলাফ্লো/এসএস

Related Posts বিনোদন

Leave a Comment

Comments 0