বাংলাফ্লোপ্রতিবেদক
ঢাকা: প্রতিবারের মতোএবারওবর্ষবরণেরআয়োজনকরবেছায়ানট।এবারতাদেরআয়োজনহবেদুইঘণ্টার।এইসময়মুক্তিরগানগাইবেনতারা।
শুক্রবার (১১এপ্রিল) বিকালেধানমন্ডিরছায়ানটসংস্কৃতি-ভবনেআয়োজিতসংবাদসম্মেলনেএসবতথ্যজানিয়েছেনছায়ানটেরসাধারণসম্পাদকলাইসাআহমদলিসা।
সবাইমিলেসুন্দরদিনকাটানোরসময়ফিরবেই; বর্ষবরণের৫৮তমআয়োজনপ্রসঙ্গেসংবাদসম্মেলনেএসেএমনপ্রত্যাশাব্যক্তকরেছেদেশেরঅন্যতমসাংস্কৃতিকসংগঠনছায়ানট।
এ সময় জানানো হয়, পহেলা বৈশাখ নতুন বছরের প্রথম দিন ভোর সোয়া ৬টায় আয়োজন শুরু হবে। ছায়ানটের এবারের আয়োজনের বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’
লিখিত বক্তব্যে লাইসা আহমদ লিসা বলেন, বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এ দেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবুও আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাই না, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসঙ্গে মিলবার, চলবার। বাঙালি জাগবেই, সবাই মিলে সুন্দর দিন কাটানোর সময় ফিরবেই। সার্থক হবেই হবে, মানুষ-দেশ, এ পৃথিবীকে ভালোবেসে চলবার মন্ত্র।
তিনি জানান, এবারের অনুষ্ঠানটি ৯টি সম্মেলক, ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে। সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
রমনাউদ্যানথেকেদুইঘণ্টাব্যাপীএবারেরআয়োজননিজস্বব্যবস্থাপনায়সরাসরিসম্প্রচারকরাহবেছায়ানটেরইউটিউবচ্যানেল (youtube.com/@chhayanautbd) ও ফেইসবুকপেইজে (facebook.com/chhayanautbd)। বিটিভিওসরাসরিসম্প্রচারকরবেঅনুষ্ঠানটি।এবারেরঅনুষ্ঠানসজ্জায়থাকছে৯টিসম্মেলকও১২টিএককগানএবং৩টিপাঠ।সবমিলিয়েদেড়শতাধিকশিল্পীএআয়োজনেঅংশনিচ্ছেন।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক জানান, বরাবরের মতোই নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার এই আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে অক্লান্ত সেবা দিয়ে চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।
এদিনবিকাল৪টায়ছায়ানটসংস্কৃতি-ভবনেআয়োজিতএইসম্মেলনেউপস্থিতছিলেননির্বাহীসভাপতিডা. সারওয়ারআলী, সহ-সভাপতিখায়রুলআনামশাকিল, সাধারণসম্পাদকলাইসাআহমদলিসা, যুগ্মসম্পাদকপার্থতানভীরনভেদ্ ওজয়ন্তরায়।
এতেবর্ষবরণ১৪৩২-এরআয়োজনপ্রসঙ্গেবিস্তারিততুলেধরাহয়।
জানানো হয়, ভোরবেলা ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে হবে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বরণের সূচনা। এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসবার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আÍবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান থাকবে পুরো আয়োজনে।
ছায়ানট এবার ৫৮তম বর্ষবরণের এই আয়োজন করছে। ১৯৬৭ সালে নগরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিল ছায়ানট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বছর ছাড়া প্রতিটি পহেলা বৈশাখেই সে অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবার নিজেদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনকে ছাড়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে ছায়ানট।
ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, এই প্রথম ছায়ানট বর্ষবরণ আয়োজন করছে, যখন সনজীদা খাতুন নেই। তার যে চিন্তা, আমরা যেন ছড়িয়ে দিতে পারি। আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে করতে পারা এবং বর্ষবরণের মর্মবাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারাটাই হবে সনজীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানানো।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0