Logo

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে পেন্টাগনে অস্থিরতা: শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল ব্রাউন বরখাস্ত

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে পেন্টাগনে অস্থিরতা: শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল ব্রাউন বরখাস্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার পেন্টাগনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়রকে বরখাস্ত করেছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার পেন্টাগনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়রকে বরখাস্ত করেছেন। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মার্কিন সামরিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রাধান্য দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেনারেল ব্রাউন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান এবং আফ্রিকা বংশোদ্ভূত দ্বিতীয় মার্কিন নাগরিক, যিনি এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, জেনারেল ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত হবেন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান কেইন। কেইন ইরাকে ট্রাম্পের সঙ্গে এক সাক্ষাতে নিজেকে তাঁর আস্থাভাজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে লিখেছেন, ‘জেনারেল কেইন একজন দক্ষ পাইলট, জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং যুদ্ধবাজ। তিনি আন্তসংস্থা ও বিশেষ অভিযানে অভিজ্ঞ।’

যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা প্রশাসন পরিবর্তনের পরও জয়েন্ট চিফসের চেয়ারম্যান পদে ব্যক্তিরা বহাল থাকেন। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেখা গেছে, তিনি সামরিক নেতৃত্বে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী। জেনারেল ব্রাউনের বরখাস্তের পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিতে (ডিইআই) ব্রাউনের অত্যধিক মনোযোগ ছিল, যা দেশের প্রতিরক্ষা প্রয়োজনের চেয়ে রাজনৈতিক এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিচ্ছিল।

এই সিদ্ধান্তের আগে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও জেনারেল ব্রাউনের চাকরিচ্যুতির পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে সামরিক নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা এই বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে আরও জোরালো করেছে।