বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

‘সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে, কবরের লাশগুলো ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে’

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় যুব সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,

ঢাকা: সংস্কারকাজ শেষ না হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। সংস্কারকাজ শেষ না করে যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, তাহলে আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, কবরে গিয়ে তাদের লাশগুলো ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় যুব সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার যে ভাইয়ের হাতটা চলে গিয়েছিল, যদি সংস্কারকাজ শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে আমার ভাইয়ের হাতটা ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, ওই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে।’

পুরোনো সংস্কৃতিতে নির্বাচন হলে জুলাইয়ে কেন এত মানুষ আহত-নিহত হলো, এই প্রশ্ন তুলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?’

সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম আগে ছিল “হাসিনামাধ্যম”, এখন কী মাধ্যম সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাঁদেরকে বলেছিলাম, যা আকাম করেছেন, ঘরের ভেতরে বসে থাকেন। যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভেতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাঁদের লজ্জা নাই। তাঁরা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।’

গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘একটা গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে—ডিজিএফআই আপনার-আমার পকেটের টাকায় চলাফেরা করে। তারা কত টাকা খরচ করে, বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে না। তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নাই, জবাবদিহি নাই, স্বচ্ছতা নাই।

‘তাদের একটাই কাজ, মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে। কিছু হলেই আয়নাঘরে তুলে নিয়ে যায়। আপনাদের আয়নাঘর আমরা ভেঙে দিয়েছি। সামনে যদি একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়, আমরা আয়নাঘর কেন, ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেব। যথেষ্ট সহ্য করেছি। বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটার সংস্কার করতে হবে।’

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0