বাংলাফ্লো বিনোদন
ঢাকা: কাশ্মির হামলার পর উত্তপ্ত কূটনৈতিক পরিস্থিতি। কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। একের পর এক পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় জড়িয়েছে দুই দেশের সরকার ও গণমাধ্যম। এবার সেই সংঘাতের আঁচ এসে পড়েছে দুই দেশের শোবিজ জগতেও।
সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের সকল এফএম রেডিও স্টেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় গান সম্প্রচার। পাকিস্তান ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (PBA) জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশের সংহতি ও জাতীয়তাবোধের স্বার্থে।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন এফএম রেডিওতে শোনা যেত লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার, আরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষালের মতো শিল্পীদের জনপ্রিয় গান। কিন্তু এবার পাকিস্তান সরকারের কড়া বার্তার ফলে থেমে গেল সেই সুর।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লা তারার এই পদক্ষেপকে ‘জাতীয় সংহতির প্রতীক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়, “পাকিস্তান ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগ সারা দেশের পক্ষ থেকে ঐক্যের শক্তিশালী বার্তা বহন করে। এই কঠিন সময়ে জাতীয় একতা, শান্তি এবং দেশপ্রেমের স্বার্থে এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”
এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে দেখছেন। এর আগে ভারতও কঠোর অবস্থান নেয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতের সরকার ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের ১৬টি গণমাধ্যম ও ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে সামা টিভি, অ্যরি নিউজ, ডন নিউজ এবং জিও নিউজ-এর মতো প্রভাবশালী মাধ্যম।
এছাড়াও, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের কাছে এখন দৃশ্যমান নয় মাহিরা খান, হানিয়া আমির, আলি জাফরের মতো জনপ্রিয় পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল। ভারত সরকারের নির্দেশেই এই অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক যে আরও তলানিতে পৌঁছেছে, তা স্পষ্ট। সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিনোদনপ্রেমীদের ওপরও এর প্রভাব পড়ছে। দুই দেশের সরকারের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান থেকে বেরিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা সময়ের দাবি—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0