দিনাজপুর প্রতিনিধি: দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানি বেড়েছে। প্রতিদিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০-৩৫ ট্রাকে আমদানি হয় চাল। তবে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক দিনেই ১১০ ট্রাকে ৪ হাজার ৫৯৩ টন চাল আমদানি হলো। আমদানি বাড়লেও হিলি বাজারে কেজিতে ১-২ টাকা বেড়েছে চালের দাম। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভারতের ১১০টি ট্রাকে করে ৪ হাজার ৫৯৩ টন চাল দেশে প্রবেশ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার ৬৩ টন, মঙ্গলবার ১৮৭ টন, সোমবার ১৪২২ টন, রোববার ৩৭৪৯ টন চাল আমদানি হয়। হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটা জাতের ভারতীয় স্বর্ণা চাল ৫০-৫১ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়। আর চিকন জাতের শম্পা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা কেজি দরে। ফলে দাম বেড়েছে কেজিতে এক থেকে দুই টাকা। এদিকে আমদানি বাড়লেও কেন কমছে না চালের দাম? বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতে চালের দাম টন প্রতি ১৫-২০ মার্কিন ডলার বেড়েছে। সেইসঙ্গে দেশে বেড়েছে ডলারের দাম। ১২০ টাকার ডলার এখন কিনতে হচ্ছে ১২৪-১২৬ টাকায়। আমদানি পর্যায়ে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। চাল আমদানিকারক দীনেশ পোদ্দার জানান, আমদানির আগে বাংলাদেশের বাজারে লাগামহীন ছিল চালের দাম। আমদানির ফলে বাজার স্বাভাবিক আছে। ওই পরিমাণ দাম বাড়েনি। কিছুটা বেড়েছে ডলারের দাম বাড়ার কারণে। ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই সঙ্গে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় আমদানি শুল্ক। এরপর ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় চাল আমদানি। প্রথম দিকে চালের আমদানি কিছুটা কম থাকলেও এখন বেড়েছে। হিলি দিয়ে ভারত থেকে বাসমতী ও নন বাসমতী দুই ধরনের চাল আমদানি হয়। জেবি