ডেস্ক রিপোর্ট: উত্তর মেসিডোনিয়ার কোচানি শহরের একটি নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

অগ্নিকাণ্ডের সময় কী ঘটেছিল?

রোববার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোররাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কোচানির ‘পালস ক্লাবে’ আগুন লাগে। এ সময় ক্লাবে প্রায় ৫০০ মানুষ দেশটির জনপ্রিয় হিপ-হপ ব্যান্ড ডিএনকে-এর কনসার্ট উপভোগ করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর ক্লাবের ভেতরে প্রচণ্ড ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। সংকীর্ণ বের হওয়ার পথ থাকার কারণে অনেকেই বাইরে বের হতে পারেননি, ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়।

১০ জন আটক, তদন্ত চলছে

উত্তর মেসিডোনিয়ার সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরের মুখপাত্র বিলজানা আরসোভস্কা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী সন্দেহে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নাইটক্লাবের অনুমোদন দেওয়া সরকারি কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

নাইটক্লাবটি ছিল অবৈধ

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পানচে তস্কোভস্কি জানিয়েছেন, ক্লাবটির কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না। এখন পুলিশ তদন্ত করছে, ক্লাব পরিচালনার পেছনে ঘুস ও দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পুরোনো একটি কার্পেট গুদামকে নাইটক্লাব হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেখানে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।

সরকারি কৌঁসুলি আরসোভস্কা আরও জানিয়েছেন, ক্লাবটিতে মাত্র একটি কার্যকরী বের হওয়ার পথ ছিল, কারণ পেছনের দরজাটি তালাবদ্ধ ছিল।

আগুন লাগার কারণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তস্কোভস্কি জানান, কনসার্ট চলাকালে পটকা জাতীয় আতশবাজির আগুন ছাদে লাগে। ছাদটি দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি ছিল, যার ফলে মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরো ক্লাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে যা দেখা গেছে

বিবিসির যাচাই করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যান্ডের পারফরম্যান্স চলাকালে দু’টি আতশবাজি জ্বলে ওঠে এবং আগুন দ্রুত ছাদে ছড়িয়ে পড়ে। তখনও ক্লাবের অনেক দর্শক ঘটনাস্থলে ছিলেন। কেউ কেউ আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং ক্লাবের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।