আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ইরানে ইসরায়েলের হামলার ঠিক একদিন পর চীন থেকে ইরানের দিকে রওনা হয়েছে একাধিক রহস্যজনক কার্গো বিমান।
বুধবার (১৮ জুন) সংবাদমাধ্যম দ্যা টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। এরমধ্যে দেশটি থেকে ইরানে পাঠানো রহস্যময় বিমান নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা।
দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরায়েলের হামলার ঠিক একদিন পর চীন থেকে একটি রহস্যজনক কার্গো বিমান ইরানের দিকে রওনা হয়েছে। এরপর আরও একটি বিমান চীনের উপকূলীয় শহর থেকে ছেড়ে গেছে। এছাড়া সোমবার সাংহাই থেকে তৃতীয় আরও একটি বিমান ইরানে গেছে। এ নিয়ে তিন দিনে ৩টি বোয়িং ৭৪৭ বিমান ইরানে পাঠানো হয়েছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, প্রতিটি বিমান উত্তর চীন পেরিয়ে কাজাখস্তান, তারপর উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান হয়ে ইরানের দিকে যাত্রা করেছে। এসব বিমান ইরান সীমান্তের কাছে গিয়ে হঠাৎ রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লাইট পরিকল্পনায় বিমানগুলোর গন্তব্য লুক্সেমবার্গ দেখানো হয়েছে। তবে বাস্তবে কোনো বিমানই ইউরোপের আকাশের কাছে যায়নি।
যুদ্ধের মধ্যে ইরানে বিমান পাঠানোয় নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এসব বিমানে কী পাঠানো হয়েছে তা নিয়েও নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। এভিয়েশন বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বোয়িং ৭৪৭ বিমানগুলো সাধারণত সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং সরকারিভাবে চুক্তিবদ্ধ পরিবহনেও ব্যবহার করা হয়।
এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় চীনের কূটনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. আন্দ্রেয়া ঘিসেল্লি বলেন, চীনের পক্ষ থেকে ইরানকে সহায়তার প্রত্যাশা অনেকের মধ্যেই রয়েছে এবং এই কার্গো ট্রান্সপোর্টগুলো সেই সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত দিতে পারে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থার (INSS) গবেষক তুভিয়া গেরিং বলেন, চীনা সামরিক সরঞ্জাম ইরানে পৌঁছেছে কি না, তা পুরোপুরি নিশ্চিত নয় — তবে সম্ভাবনাটি উড়িয়ে দেওয়া উচিত হবে না।
এদিকে ফ্লাইট অপারেটর লুক্সেমবার্গভিত্তিক কার্গোলাক্স দাবি করেছে, তাদের ফ্লাইটগুলো ইরানি আকাশপথ ব্যবহার করেনি।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0