লাইফস্টাইল ডেস্ক
ঢাকা: মূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর সংক্ৰমণ হলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের সংক্ৰমণ বা UTI বলে। মেয়ে শিশুদের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কারণ মেয়েদের মূত্রনালী ছেলেদের মূত্রনালীর তুলনায় দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট। এছাড়া মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছাকাছি অবস্থিত, ফলে ব্যাকটেরিয়া পায়ুপথ থেকে মূত্রনালীতে খুব সহজে প্রবেশ করে প্রস্রাবের সংক্ৰমণ ঘটায়।
ইউরিন ইনফেকশনের কারণ
১. মলত্যাগের পর ধৌত করার সময় এসব ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের দ্বার দিয়ে মূত্রনালি পথে ভেতরে প্রবেশ করলে।
২. এছাড়া মূত্রপথে কোনো আবদ্ধতা(obstruction)থাকলে।
৩.কোষ্ঠকাঠিন্য।
৪. কিছু বাচ্চার মধ্যে জন্ম থেকেই ভেসিকোইউরেটেরাল রিফ্লাক্স বলে এক ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাদের বেশি হয়।
৫. নার্ভাস সিস্টেমের অসুখ থাকলে ব্লাডার পুরোপুরি খালি হতে পারে না।
৬. বাচ্চার যদি টয়লেটে যেতে অনীহা থাকে
শিশুর ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ-
অকারণে বিরক্তি প্রকাশ
ডায়রিয়া
জ্বর
ঘন ঘন প্রস্রাব
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া
বিছানায় প্রস্রাব করা
তলপেটে ব্যথা
কখনো কখনো প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া
খাবারে অরুচি
কিডনির স্থানে ব্যথা
প্রস্রাব কমে যাওয়া বা একেবারেই না হওয়া, প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, ঠিকমতো প্রস্রাব না হওয়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা- এই উপসর্গ গুলোও থাকতে পারে।
প্রতিরোধ
কিছু নিয়ম মেনে চললে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা যায়। যেমন-
মেয়ে বাচ্চাদের টয়লেটে টিস্যু ব্যবহারের সময়ে সামনে থেকে পেছনে পরিষ্কার করুন।
শিশুর যৌনাঙ্গ শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন।
তাকে প্রচুর পানি পান করান।
বাথটাব বা পুকুরে গোসল করার পরিবর্তে শাওয়ার কিংবা বালতির সাহায্যে গোসল করান।
প্রস্রাব করার সময় শিশু যেন তাড়াহুড়া না করে সেদিকে খেয়াল করুন।
প্রস্রাবের বেগ আসলে তা ধরে রাখবে না এটা বাচ্চাদের শিখাতে হবে।
টাইট প্যান্ট পরাবেন না।
ইউরিন ইনফেকশন উপেক্ষা করলে সেটি খুব সহজেই গুরুতর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই লক্ষণগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত ও ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চিকিৎসা
শিশুর ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবণ সহ কিছু ওষুধের ডোজ পূরণ করলেই সেরে যায়। ওষুধ সেবনের পরও উপসর্গগুলো না কমলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0