ডেস্ক রিপোর্ট: বিভিন্ন আর্থিক সংকটের মধ্যে সংসারে টানাটানি চলছিল। মেয়ের পড়াশোনা ও বিয়ের খরচের জন্য স্ত্রীর অনুরোধে স্বামী নিজের কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। কিডনি বিক্রির পর যে ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়, তা নিয়ে স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে হাওড়ার এক যুবক কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন। পিন্টু বেজ নামের ৩৯ বছর বয়সী যুবক আদালতে জানান, তার স্ত্রী সুপর্ণা বার বার তাকে কিডনি বিক্রি করতে বলতেন, যাতে মেয়ের পড়াশোনা এবং বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করা যায়। স্ত্রী যা বলেছিলেন, তা মেনে তিনি কিডনি বিক্রি করেন। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, ১০ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে তার স্ত্রী সুপর্ণা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। পিন্টু আরও জানান, একদিন হঠাৎ করে স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান এবং ফিরেও আসেননি। পরে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান এবং হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে জানায়, সুপর্ণা নিজেই লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় তার স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ২৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করে দেন। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহিলার স্বেচ্ছায় ঘর ছাড়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানানোর পর, হেবিয়াস কর্পাস মামলা আর কার্যকর হবে না।