Logo

পুরস্কারের খবর নেই, সরে গেলেন জুরি সদস্য

null

নিজস্ব প্রতিবেদক: আরো তিন কর্মদিবস পেরিয়ে গেলেও স্থগিত হওয়া ‘সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই পুরস্কার সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জুরি বোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান। পুরস্কারের প্রথম ঘোষিত তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ ইতোমধ্যে পুরস্কার প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে বাংলা একাডেমি নতুন তালিকা তৈরিতে কিছুটা বিপাকে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। বছর আটেক আগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন মোরশেদ শফিউল হাসান। এবারের পুরস্কার কমিটিতে জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি। পুরস্কার নিয়ে সাম্প্রতিক নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন ‘গৌরবের পরিবর্তে বিব্রত’ বোধ করছেন বলে তিনি জানালেন। পদত্যাগের পর তিনি বলেন, “জুরি সদস্য হিসেবে আমার যে দায়িত্ব ছিল, তা পালন করেছি। যোগ্য একাধিকজনের মাঝ থেকে আমরা সবাইকে হয়তো পুরস্কার দিতে পারিনি। কিন্তু যাদের পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে, তারা কেউ অযোগ্য নন। যোগ্যদের হাতেই পুরস্কার গেছে।” গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় শনিবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি। মঙ্গলবার সেই তিন কর্মদিবস শেষ হলেও পুরস্কার সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি এ পুরস্কারের প্রবর্তক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। পুরস্কার স্থগিতের বিষয়ে বাংলা একাডেমির ভাষ্য ছিল, “উদ্ভূত সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবং পুরস্কার-তালিকাভুক্ত কারও কারও সম্পর্কে কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায়” পূর্বঘোষিত 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪' পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন দেখা দেয়। পুরস্কারের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, “আমরা আসলে বইমেলা সংক্রান্ত ব্যস্ততার কারণে গতকাল মঙ্গলবার পুরস্কার নিয়ে সভাটা করতে পারিনি। আজকে এই সভা হবে, তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।” এবার দশজনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কারের ঘোষিত তালিকায় কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদের নাম ছিল। পুরস্কার তালিকায় কোনো নারী লেখক না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করে গত ২৪ জানুয়ারি ফেইসবুকে পোস্ট দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

Related Posts শিক্ষা