স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: হামজা চৌধুরীর পর প্রবাসী ফুটবলাররা লাল সবুজ জার্সিতে খেলার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলেও প্রবাসী ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যে কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে তিন প্রবাসী ফুটবলার জায়গা পেয়েছিলেন। 

তাই এই এই ক্যাম্পের দিকে সবার বাড়তি নজর ছিলো। ২১ দিনের ক্যাম্প অনুশীলন শেষে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে বাফুফে। যেখান থেকে বাফুফের চূড়ান্ত দল থেকে বাদ পড়েন ইংল্যান্ড প্রবাসী ইলমান মতিন। তবে ফরোয়ার্ড পজিশনে জায়গা করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সারির দলে খেলা ফারজাদ সাইদ আফতাব এবং ইতালিয়ান প্রবাসী আব্দুল কাদির। 

প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে কোচ ছোটন বলেন, ‘যে প্রবাসীরা আসছে তাদের একটু চিন্তা করে আসা উচিত, বাংলাদেশের যে ফুটবলাররা আছেন তারাও মানসম্মত খেলোয়াড় এবং তারা ফিজিক্যালি হোক আর টেকনিক্যালি হোক তারাও কিন্তু ভালোভাবে প্রস্তুত। তাই তাদের প্রস্তুতি নিয়ে আসা উচিত। আমি বাংলাদেশে আসব আর এসেই খেলে ফেলব, এই ধারণা না নিয়ে তারা যেন প্রস্তুত হয়ে আসে।’

অধিনায়ক নাজুমল হুদা বলেন, ‘ওরা এখন বাংলাদেশি, ওরা টিমের অংশ। আপনারা যদি বাংলাদেশ-ভারত সিনিয়র দলের শেষ খেলাটা লক্ষ্য করেন, হামজা চৌধুরী ভাই আসাতে কিন্তু বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। আমাদের দলেও এমন দুজন (প্রবাসী) খেলোয়াড় আছে, ফারজাদ এবং আব্দুল কাদের, আশা করি ওরাও টিমের শক্তি বাড়াবে।’

বাফুফে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, 'আমাদের ক্লাবের স্বার্থ দেখতে হবে। একটা ফুটবলারের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারও দেখতে হবে। কিন্তু সবকিছুর ওপরে আমরা যেন জাতীয় দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দেই। এই মনমানসিকতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছিলাম পুরো অনুশীলনটাই টার্ফে করার এবং সেটা অবশ্যই আরও সুসংহত হতো। কিন্তু মুশকিলটা হলো টার্ফ আছে বিকেএসপিতে। বিকেএসপি ওই সময়টা আমাদের টার্ফে অনুশীলনের জন্য দিতে পারেনি। অনেক কথা হয়েছে, তাদের আন্তরিকতাও ছিল, কিন্তু দেয়নি।’ 

উল্লেখ্য, মালদ্বীপের বিপক্ষে ৯ মে ম্যাচ দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ শুরু করবে বাংলাদেশ। গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান। 

বাংলাফ্লো/এসও