চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান জানান, বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য লোড করার পর কোনো লাইটার জাহাজ ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্দর সীমায় অলস বসে থাকতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পের ডিপিপি আগামী মাসের মাঝামাঝিতে অনুমোদন পেতে পারে। ৫০০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছি। যতো দ্রুত বে-টার্মিনাল করতে পারবে, ততোই দেশের লাভ।
গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জন্য আশীর্বাদ। বন্দরের কার্যক্রমকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ইউএসএর আইএসপিএস টিম অডিট করে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। এবার কোনো অবজারভেশন ছিল না। উন্নত দেশের গ্রিন বন্দর পুরোপুরি অটোমেটেড। আমাদের কার্গো গ্রোথ ৭-১০ শতাংশ। আমাদের ২০৩০ সালে পাঁচ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডেল করতে হবে। সিস্টেমের ভেতরে পরিবর্তন আনছি।
তিনি বলেন, ১৯টি অফডককে আরও কার্যকর করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাস্টমসের সঙ্গে আমদানি ক্ষেত্রে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের বিপজ্জনক কার্গো অপসারণ করেছি। ১২০টি রেফার (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) কনটেইনার নয় মাস প্লাগ ছিল, সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ গত ১০-১৫ বছরে হয়নি। সেটা ৩-৪ মাসে করতে পেরেছি। বিদেশি মেইন লাইন অপারেটর ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এখনও ১০ হাজার নিলামযোগ্য কনটেইনার পড়ে আছে। ইনভেন্ট্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য লোড করার পর কোনো লাইটার জাহাজ ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্দর সীমায় অলস বসে থাকতে পারবে না। রেলের ইঞ্জিনের সংকট রয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ির স্থানীয় কর্মবিরতির কারণেও সমস্যা হয়েছে। পানগাঁওতে জাহাজের ভাড়া নির্ধারিত ছিল। আমরা মনে করি, ভাড়া নির্ধারণ করবে বাজার। তাই আমরা ভাড়া উন্মুক্ত করে দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক ভালো কোম্পানি পানগাঁও নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যবসাবান্ধব, প্রতিযোগিতামূলক বন্দর করতে আমরা পিছপা হচ্ছি না।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যম বন্দরের একটি অঙ্গ। মিডিয়ার প্রতিটি রিপোর্ট আমি দেখি। কখনও কোনো তথ্য দরকার হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমাদের দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক। উত্তরণের চেষ্টা করছি। দেশের স্বার্থে যা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এর সুফল দেশবাসী পাবে। আমাকে নিয়ে রিপোর্ট করলে দেশের ভেতর থাকবে। কিন্তু বন্দরের নেতিবাচক খবর সারা বিশ্বে পৌঁছে যায়। বন্দরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বন্দর সীমায় ছোটখাটো চুরিও যাতে না হয় সেই উদ্যোগ নিয়েছে। গাড়ির চেসিসের সঙ্গে লুকিয়ে ঢুকেছিল, সেটিও ধরা পড়েছে। কোনো সুযোগ যাতে কেউ নিতে না পারে।
জেবি