বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: প্রায় শতভাগ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস পেয়েছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, মাত্র কয়েকটি কারখানায় বেতন-বোনাস দিতে সমস্যা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফলতার দাবি তাদের।
অবশ্য, শিল্প পুলিশ বলছে, ৪৩ শতাংশ কারখানার শ্রমিক মে মাসের বেতন পায়নি।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র দাবি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২ হাজার ৯২ কারখানার মধ্যে ২টি ছাড়া সবাই ঈদের বোনাস দিয়েছে। মে মাসের বেতন পরিশোধ হয়েছে ২ হাজার ৮৫টি কারখানায়।
একজন পোশাক শ্রমিক বরেন, ‘আজকে বোনাস দিয়ে দিয়েছে। বেতনও পেয়েছি। দেশে যাচ্ছি, সবার সাথে ঈদ করব। খুব খুশি লাগছে।’
একজন কারখানা মালিক বলেন, ‘সরকার থেকে ইনসেনটিভ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও সাপোর্টের কথা বলা হয়েছে। আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনরাও যথেষ্ট কো-অপারেটিভ ছিল।’
মালিকদের সংগঠনটি বলছে, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে তৎপর ছিল সরকার ও শিল্প মালিকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রপ্তানি প্রণোদনার অর্থ গতবারের চেয়ে বেশি ছাড় হয়েছে। ফলে, ছোট-মাঝারি কারখানাও সময়মতো বেতন-বোনাস দিতে পেরেছে।
বিজিএমইএ প্রশাক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাড়ে ১৭শ কোটি টাকা আমরা প্রণোদনা নিয়ে এসেছি। সেখানেও ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া আছে। গত বছর এটার পরিমাণ ছিল ১ হাজার কোটি টাকা। মাস খানেক আগে এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। সরকার থেকে আমাদের বলে দিয়েছে, এই যে টাকাটা, প্রতিষ্ঠানগুলো যেন তাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের বেতন ভাতা পরিশোধে ব্যবহার করতে পারে, সেই সুযোগটা যাতে দেওয়া হয়।’
এদিকে, নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ বলছে, তাদের ৯৮ ভাগের বেশি কারখানায় ঈদ বোনাস এবং ৯৯ ভাগ কারখানায় মে মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। তবে, শিল্প পুলিশ বলছে ভিন্ন চিত্রের কথা। তারা জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত বিজিএমইএ অন্তর্ভুক্ত ১৭ ভাগ কারখানার শ্রমিক বোনাস পায়নি। মে মাসের বেতন পায়নি ৬৩ ভাগ কারখানার শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বোনাস পরিশোধ করা কারখানা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে। বেতন দিয়েছে প্রায় ৫৭ ভাগ কারখানা। পোশাক শ্রমিকরা সাধারণত ১০ তারিখের দিকে আগের মাসের বেতন পান বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
বাংলাফ্লো/এসকে
Comments 0