ডেস্ক রিপোর্ট: মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ওজন কমানোর ওষুধের প্রভাব নিয়ে প্রথম গবেষণায় "চোখ খুলে দেওয়ার মতো" ফলাফল পাওয়া গেছে, গবেষকরা জানিয়েছেন। প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের ওপর করা এই বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে যে, এই ধরনের ওষুধ হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, সংক্রমণ হ্রাস, মাদকদ্রব্য অপব্যবহার এবং ডিমেনশিয়ার সংক্রমণ রোধে ভালো কাজ করে। তবে মার্কিন গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, এই ওষুধগুলোর কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে এবং এগুলো অস্থিসন্ধির ব্যথা এবং সম্ভবত প্রাণঘাতী অগ্নাশয়ের প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। সুতরাং, এই ফলাফলগুলো আরো সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করা উচিত। সম্পূর্ণ শারীরিক প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা না গেলেও ওজন কমানোর ওষুধের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। প্রথমে, এই ওষুধগুলি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য একটি প্রমাণিত চিকিৎসা ছিল। এই ওষুধগুলোর ব্যবহার হৃদরোগের প্রতিরোধে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে হচ্ছে। ওজেম্পিক বা ওয়েগোভী গ্রহণকারীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিওর এবং হাই ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। এছাড়াও, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ঝুঁকি কমায় এবং স্কিজোফ্রেনিয়া, আত্মহত্মার চিন্তা ও সিজার কমিয়ে আনে। গবেষণা স্বল্প মেয়াদী হলেও, মাত্র ৩.৫ বছর যারা এই ওষুধ গ্রহণ করেছে, এদের মধ্যে ১২% এর আলঝেইমার রোগ কম পাওয়া গেছে। এছাড়াও লিভার ক্যান্সার, মাসল পেইন এবং দীর্ঘ মেয়াদী কিডনি রোগ কম এবং ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন এবং ফিভার হ্রাস পেয়েছে। তবে, ওষুধগুলির নেতিবাচক দিকও রয়েছে, যেমন; ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সমস্যা বেশি হতে দেখা গেছে। পাশাপাশি, মলাশয়ে প্রদাহ, ডাইভার্টিকুলাইটিস এবং হেমোরয়েডসও সাধারণত থাকার সুযোগ আছে।