ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : আনন্দমোহন কলেজে হলের সিট নবায়নের ধার্যকৃত ফি-কে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কলেজশিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার আগে ঘটনার সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা হলেন মেহেদী হাসান শিমুল (২০), আল আমিনসহ (১৮) অজ্ঞাত ২০ জন। কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, প্রতিবছর হলের সিট নবায়ন বাবদ ৭ হাজার টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফি হিসেবে দেওয়া হতো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫০০ টাকা কমিয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মীরাও উপস্থিত ছিল। আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ আমান জানান, হলের সিট নবায়ন ইস্যুতে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন দিনের জন্য কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ-সমর্থিত শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের পক্ষের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।’ এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-সমর্থিত শিক্ষার্থীরা ছিল। তারা কলেজে উত্তেজনা শুরু করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমান আশিকসহ অন্যরা আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।