বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের সুগন্ধা পয়েন্টের প্রবেশ মুখে সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জমির জাল কাগজ তৈরি, আদালতের আদেশ গোপন এবং প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় সরকারি সম্পত্তি দখলের সত্যতা মিলেছে।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের একটি দল। পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া জানান, তদন্তে দেখা গেছে, হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞার আদেশকে ব্যবহার করে দখলদাররা জমি দখল করলেও সেটির বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের রায় গোপন রাখা হয়েছে। এছাড়া জমির খতিয়ান ও অন্যান্য কাগজপত্র জাল করে জমি মালিকানা দাবি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ২ একর ৩০ শতক সরকারি খাস জমি দখল করে শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। বিশাল এলাকা টিন দিয়ে ঘেরা এবং সেখানে সাঁটানো আছে ‘নিষেধাজ্ঞা’ ও ‘সতর্কীকরণ’ সাইনবোর্ড, যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের এক নেতা ওবাইদুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এদিকে, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) জানিয়েছে, জমির জন্য কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি এবং জমির দাখিলকৃত খতিয়ান সম্পূর্ণ জাল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্ত নামের এক ব্যক্তি জাল খতিয়ান দাখিল করে ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি জমি দখলের ঘটনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0