নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য ‘মুক্তির সোপান’ ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী এই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলে। ঘটনায় জড়িতরা দাবি করেছে, ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস "বিকৃত"ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, “ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অবদান ও গেরিলা যোদ্ধাদের ত্যাগের বদলে শেখ মুজিবকে একক কেন্দ্র করে প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য নেতার ভূমিকা অস্বীকার করা হয়েছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, *“সরকার বারবার ইতিহাস বিকৃত করে নিজেদের গল্প চাপিয়ে দিচ্ছে।” এদিকে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাঙা ভাস্কর্যের স্থানে জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনে নিহত চার শিক্ষার্থীর স্মৃতি সংবলিত নতুন স্মারক স্থাপন করা হবে। ফাহিম দাবি করেন, “৭১-এর মতো ২৪-এর আন্দোলনের ইতিহাসও ভোলার নয়। শহীদ জিহাদ, ওমর ফারুকের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্ম জানবে।” ২০১৯ সালে কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের পাশে এই ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয়। শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণকে প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলাই ছিল এর উদ্দেশ্য। তবে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এর আগেও ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসন বা পুলিশের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঙচুরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইতিহাসের স্মারক নিয়ে এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে আবারও শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক উত্তেজনার ছাপ স্পষ্ট। ভাস্কর্য পুনর্নির্মাণ নিয়ে নতুন বিতর্কের ইঙ্গিত মিলছে।