Logo

হুতিদের সমর্থনের জন্য ইরানকে সতর্ক করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

হুতিদের সমর্থনের জন্য ইরানকে পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।

পিট হেগসেথ।

বাংলাফ্লো আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

ঢাকা: ইয়েমেনের হুতিদের সমর্থনের জন্য ইরানকে পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।

ইরানের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ফের আলোচনা শুরু করলেও তেহরান তাদের কর্মকাণ্ডের পরিণতি এড়াতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন পেন্টাগন প্রধান।

পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্র ওমানের মধ্যস্থতায় ইতোমধ্যে তিনবার পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এই আলোচনার লক্ষ্য ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হওয়া থেকে বিরত রাখা, অপরদিকে তেহরান চায় তাদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি। পক্ষ দু’টি আগামী শনিবার ইতালির রাজধানী রোমে ফের পরোক্ষ বৈঠক করবে।

বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক বার্তায় হেগসেথ লিখেছেন, ইরানের প্রতি বার্তা, হুতিদের প্রতি আপনাদের প্রাণঘাতী সমর্থন আমরা দেখছি। আপনারা আসলে কী করছেন আমরা জানি। মার্কিন সামরিক বাহিনী কী করতে সক্ষম আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন। আর আপনাদের সতর্ক করা হল। আমাদের পছন্দমতো সময়ে ও স্থানে আপনাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।

পরে হেগসেথ তার ব্যক্তিগত এক্স একাউন্টে মার্চে ট্রুথ স্যোশালে ট্রাম্পের পোস্ট করা একটি বার্তা ফের পোস্ট করেন যেটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, হুতি গোষ্ঠীর চালানো যে কোনো হামলার জন্য তিনি ইরানকে দায়ী বলে ধরবেন।

এর আগে ইরানের নেতা বলেছিলেন, হুতিরা স্বাধীনভাবে কাজ করে।

ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাঞ্চল হুতিদের নিয়ন্ত্রণ আছে। তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েলি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে আঘাত হানছে।

মার্চ থেকে হুতিদের ওপর ফের আঘাত হানা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনে হুতি লক্ষ্যস্থলগুলোতে হাজারবারের বেশি আঘাত হেনেছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে পেন্টাগন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য এটি একটি আদর্শ অবস্থান।

এছাড়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি বিমানবাহিনী রণতরী অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও মোতায়েন করেছে।

তেহরান ও ওয়াশিংটন, উভয়েই বলছে,তারা কূটনীতি অনুসরণে বদ্ধপরিকর। কিন্তু দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বিরোধের কারণে তারা এখনও পরস্পর থেকে অনেক দূরে রয়েছে।

চলতি মাসের প্রথমদিকে টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি মনে করি আমরা ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছি।”

কিন্তু কূটনীতি ব্যর্থ হলে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামিরক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বাংলাফ্লো/এসএস 

Leave a Comment

Comments 0