Logo

'হৃদয়হীন মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী'

মোহামেডানের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৬ বল আগেই ৬ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।

আবাহনী

বাংলাফ্লো খেলা ডেস্ক

ঢাকা:  সুপার লীগের অলিখিত ফাইনালে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুরে সুপার লিগের অলিখিত ফাইনালে মোহামেডানের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৬ বল আগেই ৬ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। এ নিয়ে ২৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ডটা অন্যদের নাগালের আরও বাইরে নিল আকাশি-নীলেরা। 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে কম নাটক হয়নি। আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের বাকবিতণ্ডার ঘটনা বিসিবির সবারই জানা। হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা এক বছর পেছানো হয়েছিল ক্লাব ও খেলোয়াড়দের অবস্থানের কারণে।

কিন্তু হৃদয় ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেননি হৃদয়। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আবারও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানিয়ে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জুটিয়েছেন। তাতে সর্বনাশ হয় তাঁর দল মোহামেডানের। আজ সুপার লিগের অলিখিত ফাইনালে তাঁকে ছাড়া নামা মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী।

২০০৯-১০ মৌসুমের পর কখনো ডিপিএলের শিরোপা জেতা হয়নি মোহামেডানের। তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকরা আগেই ছিলেন। এবার জাতীয় দলের হৃদয় ও নাসুম আহমেদকে দলে টেনে শক্তি বাড়িয়েছিল মোহামেডান। সুপার লিগে তাঁদের সঙ্গী হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এবারও শিরোপা হাতছাড়া করেনি।

মোহামেডানের দেয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার শাহরিয়ার কমলকে হারিয়ে চাপে পড়ে আবাহনী। তবে পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী ক্রিকেটে পঞ্চাশ রান পার করেন পারভেজ হোসেন ইমন-জিসাল আলম জুটি।

এবাদত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানদের ওপর চড়াও হলেও পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩১ বলে ২৮ রান করা ইমন সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

৫৮ রানে আবাহনী দ্বিতীয় উইকেট হারালেও এক প্রান্ত থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করে যান জিসান আলম। ১৫তম ওভারে এসএস মেহরব হোসেন (১০ রান) নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হলে ম্যাচে ফিরে মোহামেডান।

অপর প্রান্তে থাকা জিসান আলম দলকে এক শ রান পার করে দেন, পেয়ে যান ফিফটিও। তবে ২১তম ওভারে ৫৩ বলে ৫৫ রান করে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন জিসান।

দলীয় ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় আবাহনী। তবে পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ মিঠুন আকাশি-নীলদের পথ দেখান।

শুধু পথই দেখাননি এই জুটি। মোহামেডান বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছেন। নাসুম-নাবিল সামাদদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণই নিতে দেননি। দ্রুত গতিতে রান তোলে ৪১তম ওভারেই ৬ উইকেট হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক-মিঠুন জুটি। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৫ বলে ৭৮* রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। ৭৯ বলে ৬৬ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলামের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট মাত্র ২৪০ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান। দুইটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক ও মৃত্যুঞ্জয়।

বাংলাফ্লো/এসএস 

Related Posts খেলা

Leave a Comment

Comments 0