ডেস্ক রিপোর্ট : মালদ্বীপ থেকে হানিমুন শেষ করে দেশে এসেই কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুটে যান দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন এই গায়ক-অভিনেতা। তাহসানের ফেসবুক পেজ থেকেই জানা গেলো এসব তথ্য। শুক্রবার তাহসান খান তার ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের নানা মুহূর্ত রয়েছে। কিন্তু সেখানে কেন গিয়েছিলেন এই গায়ক? অবশ্য, এ প্রশ্নের উত্তর তাহসান নিজেই ছবির ক্যাপশনে উল্লেখ করেছেন। তাহসান খান লেখেন, ‘গতকাল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি। কয়েক সপ্তাহ আগে সেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি।’ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন তাহসান। তারই অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। এ তথ্য উল্লেখ করে তাহসান লেখেন, “মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে জীবন শুরু করেছে। আক্রান্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।” এদিকে, সদ্যই বিয়ে করেছেন এ গায়ক। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। তাহসানের বর্তমান স্ত্রী রোজা আহমেদ নিউ ইয়র্কের ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসিবে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। বেশ আগে তাদের পরিচয়। গত বছর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। গত ৪ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেন এই যুগল। গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করছেন তাহসান খান। বাংলাদেশ থেকে সংস্থাটির প্রথম শুভেচ্ছাদূত হন এই তারকা। পৃথিবীজুড়ে ইউএনএইচসিআরের ৩২ জন শুভেচ্ছাদূত আছেন। যারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ইউএনএইচসিআরের কাজ সবার সামনে তুলে ধরেন।