বাংলাফ্লো লাইফস্টাইল
ঢাকা: বৈশাখ মানেই তপ্ত খরতাপ আর রুক্ষ আবহাওয়া। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর চড়া তাপমাত্রায় আমাদের শরীর খুব দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ক্লান্তি, ঘাম এবং তৃষ্ণা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়টায় শরীর ও মনকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে চাই পর্যাপ্ত পানি এবং কিছু পুষ্টিকর, ঠান্ডা ও স্বাস্থ্যকর পানীয়।
তবে বাজারে পাওয়া অনেক প্যাকেটজাত পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই শুধু নয়, বরং সাধারণ সবার স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর পানীয়ের দিকে ঝুঁকতে। নিচে কিছু পানীয়র কথা বলা হলো, যা এই গরমে আপনাকে এনে দিতে পারে প্রশান্তি, পুষ্টি ও সতেজতা:
১. লেবু পানি
সহজলভ্য এবং ঝামেলাহীন এই পানীয় শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লেবু পানি মুহূর্তেই প্রশান্তি দেয় এবং তৃষ্ণা মেটাতে দারুণ কার্যকর।
২. ডাবের পানি
প্রাকৃতিকভাবে ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ ডাবের পানি শরীরের পানির ঘাটতি দ্রুত পূরণ করে। এতে নেই কোনো কৃত্রিম চিনি। তাজা ডাব শরীরকে করে তোলে সতেজ, পুষ্টিকর এবং হাইড্রেটেড।
৩. ঘোল বা লস্যি
দুধ বা টক দই দিয়ে তৈরি এই পানীয় হজমে সহায়তা করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ঘোলে থাকে প্রোবায়োটিক, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপযোগী। চাইলে এতে ভাজা জিরা গুঁড়ো, ধনেপাতা ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪. তাজা ফলের স্মুদি
তরমুজ, আম, কমলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি ঠান্ডা স্মুদি শরীরে শক্তি জোগায়, ক্লান্তি দূর করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৫. ঠান্ডা গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। অল্প চিনি দিয়ে ঠান্ডা গ্রিন টি পান করলে তা সতেজতার সঙ্গে সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
৬. আমলকির রস
‘ভিটামিন সি’ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি রোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। তাজা আমলকির রস লবণ বা পুদিনা পাতা মিশিয়ে পান করলে গরমের ক্লান্তি কমে।
৭. শসা-পুদিনা ডিটক্স ওয়াটার
এক জগ ঠান্ডা পানিতে শসার টুকরো আর তাজা পুদিনা পাতা রেখে দিন কিছুক্ষণ। এই ডিটক্স ওয়াটার শরীর ঠান্ডা রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৮. মিন্ট পানি
পানিতে পুদিনা পাতা ও লেবু দিয়ে তৈরি এই পানীয় শরীরকে ঠান্ডা ও ফুরফুরে রাখে। মিন্ট পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতেও সহায়তা করে
গরমে সুস্থ থাকার জন্য শুধু ঠান্ডা পানীয়ই নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান এবং হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার প্রতিও নজর দিন। একটু সচেতনতা আপনাকে রাখতে পারে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে সতেজ, সুস্থ ও প্রাণবন্ত।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0