স্পোর্টস প্রতিবেদক: চিটাগাং কিংসের বিপক্ষেই ছন্দে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন মিকি আর্থার। তবে রংপুর রাইডার্সের কোচের জয়ে ফেরার আশা পূরণ হয়নি। উল্টো হ্যাটট্রিক হার দেখেছে তার দল। টানা ৮ ম্যাচে জয় পাওয়া দলটি আজ চিটাগাংয়ের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে। রংপুরের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যটা ১৪ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে চিটাগাং। অবশ্য লক্ষ্য তাড়াটা ভালো ছিল না তাদের। ২৯ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে ধাক্কাটা সামলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যক্তিগত ২০ রানে অধিনায়ক মিঠুন ফিরে গেলে দলের জয়ের কাজটা প্রায় সাড়েন ইমন। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। ইমন ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হলে চতুর্থ উইকেটে হায়দার আলীর সঙ্গে ৩৪ রানের জুটিও ভেঙে যায়। পরে দ্রুত শামীম হোসেন পাটোয়ারিও ফিরে গেলে ম্যাচে রোমাঞ্চের আভাস পাওয়া যায়। কিন্তু সেই আভাস ১৮তম ওভারের প্রথম চার বলে নিবৃত্ত করে দেন হায়দার। ১৮ বলে ২০ রানের সমীকরণে বোলিং করতে আসা স্বদেশি পেসার আকিফ জাভেদের করা ওভারটির প্রথম চার বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন পাকিস্তানি ব্যাটার। দলকে ষষ্ঠ জয় এনে দেওয়া ৪৮ রানের ইনিংসটি সাজান মাত্র ১৮ বলে। ৬ ছক্কা ও ১ চারে ২৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলেন হায়দার। এ জয়ে নক আউটও যেন নিশ্চিতই করল চিটাগাং। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা চিটাগাং শেষ দুই ম্যাচের একটি জিতলে পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিতই হবে। না জিতলেও নিশ্চিত হতে পারে, যদি শেষ দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে না হারে। এতে করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্সের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে নক আউট নিশ্চিত করতে পারবে। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান করে রংপুর। ইনিংসের শুরুটা ভালো ছিল না রংপুরের। দলীয় ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরে কিছুটা ধাক্কা সামলালেও একটা সময় ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরে ষষ্ঠ উইকেটে অপরাজিত ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এই সংগ্রহটা এনে দেন ইফতিখার আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান।