রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতে ভিপি সাদিক কায়েম

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের গোরস্থানে পেঁছান ভিপি সাদিক ও শিবির নেতাকর্মীরা।

ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি,

কুষ্টিয়া: বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। 

এ সময় আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি নিজেই মোনাজাত করেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের গোরস্থানে পেঁছান ভিপি সাদিক ও শিবির নেতাকর্মীরা।

পরে ১১টা ৫ মিনিটের দিকে তারা আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। এসময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এরপর তারা আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরে আবরার ফাহাদ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাদিক কায়েম কথা বলেন, এসময় তিনি জানান, শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। শহীদ আবরার আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে খুনি হাসিনা ও তার দোসররা (নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ) শহীদ আবরার ভাইকে সারারাত নির্মমভাবে নির্যাতন করে শহীদ করেছিল। শহীদ আবরার ভাই আমাদেরকে যে রাস্তা দেখিয়েছে, সেই রাস্তার ওপর ভিত্তি করে জুলাইয়ে বিপ্লব হয়েছে। শহীদ আবরার যে চেতনা-আকাঙ্খা লালন করত, জুলাইয়ে প্রত্যেক শহীদ ও গাজী একই আকাঙ্খা লালন করত।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপিড়ন ও সাংস্কৃতির গোলামীর মাধ্যমে আমাদেরকে যেতে হয়েছিল। সেই সময়ে শহীদ আবরার সকল শোষণ, আগ্রাসন, আধিপত্য ও ছাত্রদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদ দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন, কথা বলেছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন। আবরার ফাহাদকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

ডাকসুর ভিপি আরও বলেন, জুলাইকে আকাঙ্খাকে যেভাবে ধারণ করার দরকার ছিল, সেভাবে ধারণ করছে না অন্তর্বতীকালীন সরকার। আমাদের শহীদরা যে জন্য জীবন দিয়েছেন, সেই আকাঙ্খাকে ধারণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এর ব্যত্যয় হলে খুনি হাসিনা বা ফ্যাসিবাদের যে পরিণতি হয়েছে, তার চেয়ে খারাপ পরিণতি তাদের হবে।

এরপর সাড়ে ১১টার দিকে তারা কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ছাত্রলীগের মারধরে নিহত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।

বাংলাফ্লো/এনআর


Leave a Comment

Comments 0