বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তানজিদ তামিমের তাণ্ডব ও মেহেদীর ঘূর্ণিতে লঙ্কায় সিরিজ জয় টাইগারদের

মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে মেহেদী হাসান একাদশে জায়গা নিয়ে বাজিমাত করলেন। তার বোলিং নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কাকে ১৩২ রানে আটকে দিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে সহজে জিতলো বাংলাদেশ।

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: এবার তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শেষটিতে তানজিদ তামিমের দুরন্ত ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ১৬.৩ ওভারে ১৩৩/২ (তানজিদ ৭৩*, হৃদয় ২৭*, ইমন ০, লিটন ৩২)

শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ১৩২/৭ (শানাকা ৩৫*, থিকশানা ৬*, কুশল ৬, পেরেরা ০, চান্ডিমাল ৪, আসালাঙ্কা ৩, নিসাঙ্কা ৪৬, কামিন্দু ২১, ভ্যান্ডারসে ৭)

ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান ৪/১১।

মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে মেহেদী হাসান একাদশে জায়গা নিয়ে বাজিমাত করলেন। তার বোলিং নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কাকে ১৩২ রানে আটকে দিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে সহজে জিতলো বাংলাদেশ। কলম্বোতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের জয়ে প্রথমবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জিতলো তারা। ১৬.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৩ রান করেছে বাংলাদেশ।

প্রথম বলেই পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ও তানজিদ ৭৪ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে রাখেন। লিটন ৩২ রানে আউট হলেও তানজিদ ২৭ বলে ফিফটি করেন। তারপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে দলকে জেতান তিনি। ৪৮ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল তাদের। ৭৩ রানে তানজিদ ও ২৭ রানে হৃদয় অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ও শেষ ওভার বাদে পুরোটা সময় দাপট দেখায়। শরিফুল ইসলাম এই দুই ওভারে ১৪ ও ২২ রান দেন। মাঝের সময়ে মেহেদী চার উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের অস্বস্তিতে ফেলেন। ৭ উইকেটে ১৩২ রানে থামে স্বাগতিকরা। মেহেদী চার ওভারে ১ মেডেন দিয়ে ১১ রান খরচ করেন।

দারুণ এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ জিতলো বাংলাদেশ।

জীবন পেলেন তানজিদ, বাংলাদেশের একশ

৬০ রানে মাহিশ থিকশানার হাত ফসকে জীবন পেলেন তানজিদ হাসান তামিম। বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান পার করেছে।

তানজিদের ফিফটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি

দশম ওভারের প্রথম দুই বলে ছয় ও চার মেরে ২৭ বলে ফিফটি করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। টি-টোযেন্টিতে এটি তার পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। ১৩৩ রানের লক্ষ্যে সহজ জয়ের আভাস দিচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রেখে লিটনের বিদায়

১৩৩ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম বলে বাংলাদেশ উইকেট হারায়। তারপর লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন। দলকে স্বস্তিতে রেখে লিটনকে বিদায় নিতে হলো। ৭৪ রানে ভেঙে গেছে এই জুটি।

নবম ওভারের তৃতীয় বলে কামিন্দু মেন্ডিসের শিকার হন লিটন। ২৬ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রানে কুশল পেরেরার ক্যাচ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তানজিদের ছক্কায় বাংলাদেশের হাফ সেঞ্চুরি

শূন্যতে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও বাংলাদেশ লাইনচ্যুত হয়নি। পাওয়ার প্লেতে তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে ৪৭ রান করে তারা। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে তানজিদের ছক্কায় পঞ্চাশ পার করেছে সফরকারীরা।

রিভিউ নিয়ে টিকে গেলেন লিটন

দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাসের বিরুদ্ধে বিনুরা ফার্নান্ডোর এলবিডব্লিউর আপিলে সফল ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলের ইম্প্যাক্ট আউটসাইড লেগে থাকায় বেঁচে যান তিনি।

ডাক মারলেন ইমন

ইনিংসের প্রথম বলেই ভেঙে গেলো বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। পারভেজ হোসেন ইমন এলবিডব্লিউ হলেন। নুয়ান থুসারার জোরালো আপিলে আম্পায়ার আউট দেন। রিভিউ নেন ইমন। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে তাকে মাঠ ছাড়তে হলো।

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৩ রান

শ্রীলঙ্কাকে ১৩২ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এত রান হওয়ার কথা ছিল না। ১৯ ওভার ১১০ রান করা দলটি ইনিংসের শেষ ওভারে ২২ রান তুলে নেয়, শরিফুল ইসলাম করেন ওই ওভার। দাসুন শানাকা দুটি করে ছয় ও চার মারেন। তাতে ৪ ওভার শেষে শরিফুল ১ উইকেটে দেন ৫০ রান। প্রথম ওভারে উদ্বোধনী জুটি তিনিই ভেঙেছিলেন, তবে ১৪ রান দেন।

শরিফুলের বলে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট পাওয়ার পর মেহেদী হাসানের স্পিন জাদুতে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এই অফস্পিনার ১১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে লঙ্কানদের অল্প পুঁজিতে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন পাথুম নিসাঙ্কা। ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শানাকা।

মোস্তাফিজ নিলেন শ্রীলঙ্কার সপ্তম উইকেট

১৭তম ওভারের শেষ বলে জেফ্রি ভ্যান্ডারসেকে ৭ রানে তানজিম হাসান সাকিবের ক্যাচ বানালেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ বলে ৭ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

কামিন্দুকে মাঠছা্ড়া করলেন শামীম

আগের ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসের কাছে ছয়-চার হজম করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তার প্রায়শ্চিত্ত করলেন শামীম হোসেনের বলে দারুণ এক ক্যাচে।

১৩.১ ওভারে ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ১৫ বলে ২১ রানে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন কামিন্দু।

ফিরতি ক্যাচে নিসাঙ্কাকে আউট করলেন মেহেদী

মেহেীদ হাসান শ্রীলঙ্কাকে ভুগিয়ে তার বোলিং শেষ করলেন। নিজের শেষ ওভারে পাথুম নিসাঙ্কার বড় উইকেট নিয়েছেন তিনি ফিরতি ক্যাচে। ১১তম ওভারে ৬৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো স্বাগতিকরা। চার ওভারে ১ মেডেনসহ ১১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন বাংলাদেশের অফস্পিনার। এটি মেহেদীর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৩৯ বলে চারটি চারে ৪৬ রানে থামেন নিসাঙ্কা।

মেহেদীর তৃতীয় শিকার আসালাঙ্কা

মেহেদী হাসান দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ভোগালেন। টানা তৃতীয় ওভারে উইকেট পেলেন বাংলাদেশি স্পিনার। ৭.৪ ওভারে চারিথ আসালাঙ্কা বিদায় নিলেন। মেহেদীর বল ব্যাকফুটে ডিফেন্ড করতে চেয়ে ব্যর্থ হন লঙ্কান অধিনায়ক। ৮ বলে ৩ রানে বোল্ড হন তিনি। ৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেললো বাংলাদেশ

কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা ও দিনেশ চান্ডিমালকে দ্রুত হারালো শ্রীলঙ্কা। ৩৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হাারায় তারা। বাংলাদেশ দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে চাপে ফেলেছে লঙ্কানদের। ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান স্বাগতিকদের। পাথুম নিসাঙ্কা ২৮ ও চারিথ আসালাঙ্কা ১ রানে অপরাজিত। দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান ও একটি শরিফুল ইসলাম।

চান্ডিমালকে ফেরালেন মেহেদী

মেহেদী হাসান তার দ্বিতীয় ওভারে দিনেশ চান্ডিমালকে নিজের আরেক শিকার বানালেন। ৪.৩ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট পড়লো শ্রীলঙ্কার। মাত্র ৪ রান করে টপ এজ হয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জাকের আলীর সহজ ক্যাচ হন চান্ডিমাল।

দুইবার জীবন পেলেন নিসাঙ্কা, একবার চান্ডিমাল

১৯ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের দারুণ শুরু হলো। কিন্তু ৬ বলের মধ্যে তিনবার পাথুম নিসাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল বেঁচে গেলেন।

দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে চান্ডিমাল দুটি রান নিতে গেলে বোলার এন্ডে অল্পের জন্য রান আউট থেকে বেঁচে যান নিসাঙ্কা। পরের ওভারের তৃতীয় বলে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে শট নেন তিনি। বৃত্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে উঁচু ক্যাচ নিতে পারেননি তানজিম হাসান সাকিব। ১২ ও ১৪ রানে জীবন পান নিসাঙ্কা। পঞ্চম বলে চান্ডিমালের ক্যাচ ছেড়ে দেন শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান।

দ্বিতীয় ওভারে পেরেরাকে ফেরালেন মেহেদী

দ্বিতীয় ওভারেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে আঘাত করেছে বাংলাদেশ। ১.৫ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট হারালো স্বাগতিকরা। কুশল পেরেরা প্রথম বলেই শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হন। স্লিপে দাঁড়ানো তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হন লঙ্কান ব্যাটার।

১৪ রান খরচের পর ইনিংসের ষষ্ঠ বলে শরিফুলের আঘাত

শরিফুল ইসলামকে প্রথম বলে চার মেরে পাথুম নিসাঙ্কা শ্রীলঙ্কার রানের খাতা খোলেন। তার সঙ্গী কুশল মেন্ডিসও মারেন একটি চার। প্রথম পাঁচ বলে ১৪ রান তুলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল এই জুটি। ষষ্ঠ বলে কুশলকে ৬ রানে বাউন্ডারির কাছে তাওহীদ হৃদযের ক্যাচ বানান বাংলাদেশি পেসার। ১ ওভারে ১৪ রানে এক উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

কলম্বোতে টসে হেরেছে বাংলাদেশ, আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতেও টস হেরেছে বাংলাদেশ। কলম্বোতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাটিং নিয়েছে। ফিল্ডিং করতে হবে বাংলাদেশকে।

প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৭ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে তারা। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচটি তারা জিতে নেয ৮৩ রানে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্ডিমাল, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), দাসুন শানাকা, মাহিশ থিকশানা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, বিনুরা ফার্নান্ডো, নুয়ান থুসারা।

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জয়ের আক্ষেপ কি ঘুচবে?

কোনও ফরম্যাটেই স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। একের পর এক হার, আর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াইয়ের ব্যর্থতা- এমন পরিস্থিতিতে এক পশলা স্বস্তি হয়ে এসেছে যেন এক জয়। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার সফরকারীদের সামনে সুযোগ লঙ্কানদের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনও সিরিজ জয়ের। ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ থাকলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ফের সুযোগ এসেছে আক্ষেপ দূর করার। এখন দেখার অপেক্ষা, সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে কিনা লিটন দাসের দল।

গল টেস্টে ড্র, কলম্বোতে একটি ওয়ানডে জয়—এসব কিছুই ক্যান্ডি এনে দিতে পারেনি। বরং ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই সাত উইকেটে হার হতাশায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে সিরিজ থেকে ছিটকে না পড়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮৩ রানের দাপুটে জয়ে সমতায় ফিরেছে লিটনরা। শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিয়ে ডাম্বুলা থেকে সোমবার কলম্বোতে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে কাটানো সফরের এই শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে অন্তত একটি সিরিজ জয় নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে তারা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শুরু হবে বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম থেকে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস, নাগরিক টিভি।

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0