জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে অনুমতি ছাড়া দাঁড়ি রাখার অভিযোগে তিন পুলিশ কনস্টেবলকে দুই দিনের জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা “পিডি” (প্যারেড ড্রিল) ভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
শাস্তিপ্রাপ্তরা হলেন—সদর কোর্টে কর্মরত কনস্টেবল দুলাল মিয়া, অপরাধ শাখার কনস্টেবল হৃদয় আহমেদ এবং মোটরযান শাখার কনস্টেবল ইফতেখার হোসেন সুমন।
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ.এন.এম সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দাঁড়ি রাখার জন্য আবেদন করলেও অনুমোদনের আগেই সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলরা দাঁড়ি রেখেছিলেন। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার সময় তাদের মুখে দাঁড়ি দেখা যাওয়ায় নিয়ম ভঙ্গের হিসেবে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আদেশে আরআই (ভারপ্রাপ্ত), পুলিশ লাইন্স হবিগঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—শাস্তি কার্যকর করে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শাখার ইনচার্জদের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদান করার নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, আমাদের নিয়ম আছে অনুমতি নিয়ে দাঁড়ি রাখতে হয়। অনেক সময় অনুমতি না নিয়ে দাঁড়ি রাখে অনেক পুলিশ সদস্য, এতে নোংরা থাকার প্রবণতা থাকে। যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের ৩জনেরই একমাস বা দুই মাসের দাঁড়ি ছিল। আমি নিজেও একজন ধার্মিক। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, আমার মুখেও দাঁড়ি আছে। পুলিশের নিয়ম মেনে শাস্তি দেওয়ার পর তারা অনুমতি চেয়ে অনুমতি পেয়েছে। এখানে আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি, কিন্তু এটাকে কিছু মহল ভাইরাল করার চেষ্টা করছে।
অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখায় শাস্তি দেওয়ার ওই আদেশ কপিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অবশ্য পরদিন ২২ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত একটি আদেশে ওই তিন পুলিশ সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে দাড়ি রাখার অনুমতি প্রদান করা হয়।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0