মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিক্ষকদের দাবি না মানা হলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আমরণ অনশনের হুশিয়ারি

সহকারী শিক্ষকদের নিবন্ধিত ছয় সংগঠনের জোট ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করেন।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,

ঢাকা: রাজধানীর শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে সহকারী শিক্ষকদের নিবন্ধিত ছয় সংগঠনের জোট ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তারা দুপুর ২টা নাগাদ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আমরণ অনশন করবেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান, খেলাফতে মজলিশের সভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের নেতা তপন মণ্ডল, গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা মো. সাখাওয়াত হোসেন তাদের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন।

শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে ১শ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ ও ১০ বছর ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানে উন্নীত স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে বিবেচনা করার জটিলতা নিরসন।

শিক্ষকরা বলেন, হাইকোর্ট থেকে প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সাল থেকে ১০ম গ্রেডে বেতন প্রদানের রায় দিয়েছেন। যা দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা থেকে শুরু হলে ১৬ বছর পর দুটি টাইমস্কেল পেয়ে একজন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল দাঁড়াবে ২৩ হাজার টাকা।

অপরদিকে একজন সহকারী শিক্ষকের ১৩তম গ্রেডে তাদের বেতনস্কেল ১১ হাজার টাকা শুরু হয়ে ১৬ বছর পর দুটি টাইমস্কেল পাওয়ার পর দাঁড়াবে ১২ হাজার পাঁচশ টাকায়। তাতে ১৬ বছর চাকরি করার পর একজন প্রধান শিক্ষকের সাথে একজন সহকারী শিক্ষকের বেতনের বৈষম্য হবে আনুমানিক প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

তারা বলেন, ফলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং মেধাবীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতিসহ ১১তম গ্রেডে দ্রুত বেতন নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছি।

প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন কমিশন হয়েছে। কিন্তু আমরা শিক্ষানীতি পাইনি। আমরা ভেবেছিলাম, অভ্যুত্থানের পর শিক্ষকদের আর রাজপথে নামতে হবে না। অথচ প্রাথমিক থেকে উচ্চতর পর্যন্ত, সব শিক্ষকরা অবহেলিত। তাদের যে বেতন দেওয়া হয়, এত কম যে বলতে আমাদের লজ্জা হয়। মাত্র ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা।

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0