স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: জীবনের সবচেয়ে সুখের সময় কাটাচ্ছিলেন দিয়েগো জোটা। এক মাসের ব্যবধানে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ আর পর্তুগালের হয়ে নেশনস লিগ জেতেন তিনি। সঙ্গে দুই সপ্তাহ আগে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রুতে কারদোসোকে বিয়ে করে তিন সন্তানের সঙ্গে রঙিন স্মৃতি সংগ্রহ করছিলেন তিনি।
কিন্তু সুখটা দীর্ঘস্থায়ী হলো না জোটার।
ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভার সঙ্গে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমান তিনি। প্রতিভাবান পর্তুগিজ তারকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বফুটবলে। অনেকের মতো তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও।
শোক জানালেও গতকাল জোতার শেষকৃত্যে অংশ না নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন রোনালদো।
বার্নার্দো সিলভা জোয়াও কানসেলো, রুবেন নেভেস, কোচ রবার্তো মার্টিনেজসহ জাতীয় দলের অনেকে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত সতীর্থর শেষকৃত্যে। এমনকি ছিলেন অল রেডদের ভার্জিল ফন ডাইক, অ্যান্ডি রবার্টসন, ডারউইন নুনেজ, কোচ আর্নে স্লটও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে গন্ডোমারের ইগ্রেজা মাত্রিজ চার্চের শেষকৃত্যে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে থাকতে না দেখে দেশটির মিডিয়া ও ক্রীড়া সাংবাদিকরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
জোটার শেষকৃত্যে কেন থাকেননি তার ব্যাখ্যা এখনো দেননি রোনালদো।
এমনকি সমালোচনাকারীদের জবাবও দেননি সিআর সেভেন। তার হয়ে মুখ খুলেছেন বোন কাতিয়া আভেইরো। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই কারো শেষকৃত্যে রোনালদো জান না বলে জানিয়েছেন আভেইরো।
সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে আভেইরো লিখেছেন, ‘যখন আমার বাবা মারা যান তখন হাজারো ক্যামেরাম্যান ও কৌতূহলী দর্শক দেয়াল পেরিয়ে কবরস্থানে ঢুকে পড়েছিলেন। এতে করে বাবা হারানোর ব্যাথাই ছিলো না অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
এটা এড়ানোর জন্যই আমার ভাই উপস্থিত না থাকায় মিডিয়া সমালোচনা করছে। দুই সদস্য হারানো পরিবারটির প্রতি শ্রদ্ধার বিপরীতে প্রশ্ন তুলছে তারা। পৃথিবী এমনই হয়ে উঠছে... মূল্যহীন মতামত এবং হৃদয়হীন মানুষে।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0