বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: ভোর ৬ টা থেকে সারাদিন ঢাকায় অবিরাম বৃষ্টি। এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে দেশের অন্তত ১৪ জেলার বিভিন্ন স্থানে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর ও অভ্যন্তরীণ নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, রাজশাহী, বরিশালসহ দেশের ৮ বিভাগের প্রায় সসব জেলা-উপজেলায় বুধবার রাত থেকেই হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঢাকায় সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ মিলি মিটার, আর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন শ্রমজীবীসহ অফিস ও স্কুলগামীরা।
উত্তাল সাগর, জোয়ারে উপকূল প্লাবিতউত্তাল সাগর, জোয়ারে উপকূল প্লাবিত
আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘সকল সমুদ্রবন্দরসমূহ বিশেষ করে কক্সবাজার, মোংলা, চট্টগ্রাম ও পায়রাসহ নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
সারা দেশে আগামী ২ দিন বজ্রপাতসহ ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া চট্টগ্রামসহ পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসেরও আশঙ্কা আছে।
আবহাওয়াবিদ কালাম মল্লিক বলেন, ‘অতিভারি বৃদ্ধির কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা আছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।’
ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো কোনো জায়গায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পরিণত হয় নিম্নচাপে। আরেকটু শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে, ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার কোনো আশঙ্কা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Comments 0