জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও তা স্থায়ী বিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন 'জুলাই যোদ্ধারা'।

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,

ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও তা স্থায়ী বিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন 'জুলাই যোদ্ধারা'। শুক্রবারও (১লা আগস্ট) তাদের কর্মসূচির কারণে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, ফলে সৃষ্টি হয়েছে চরম জনদুর্ভোগ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের’ ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা জানান, ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, সরকার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে তাদের অবস্থান অব্যাহত ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা রাস্তায় অবস্থান করে দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালমুখী মানুষ ও জরুরি কাজে বের হওয়া নাগরিকদের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, শহীদ পরিবার ও আহতদের আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণের পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়া। শহীদ পরিবার ও আহতদের দায়িত্ব গ্রহণ করা। আহতদের সব চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও কল্যাণমূলক ব্যয় রাষ্ট্রকে বহন করা। আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আজীবন সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করা। শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বিশেষ আইনি সুরক্ষা ও সহায়তাকেন্দ্র গঠন করা। শহীদ ও আহতদের ওপর সংঘটিত দমন-পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচারকাজ সম্পন্ন করা এবং একটি স্বাধীন সত্য ও ন্যায় কমিশন গঠন করা।

শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় যানবাহনের চাপ তুলনামূলক কম থাকলেও বিকল্প কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চলবে এবং সরকার তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।

বাংলাফ্লো/সিএস